পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদাবলী—বিবিধ পদকর্তা—১৫-১৮শ শতাব্দী। >めos তোমার লাগিয়া বঁধু যত দুখ পাই। তাহা কি কহিতে পারি তোমার যে ঠাঞি ॥ একে প্ৰেম-জ্বালা তাহে গুরুর গঞ্জন । নিরবধি প্রাণ মোর করে উচাটন ॥ পতি কুরমতি তাহে সদা দেয় গালি। ভাবিতে ভাবিতে তনু ক্ষীণ অতি কালী ৷ এ সব দুখেতে আমি দুখ নাহি গণি । তোম না দেখিতে পাই বিদরে পরাণী ॥ শুনিয়া নাগর কহে করি নিজ কোরে । বুক ভাসিয়া গেল নয়নের লোরে ॥ গদগদ কহে নাগর কাতর বয়ানে । পরাণ নিছুনি রাই তোমার চরণে ॥ তুয়া গুণে বিকাঞছি কিনিয়াছ মোরে। অধীন জনারে কেন কহ পুনৰ্ব্বারে । যে কহ তাঁহাই করি নাহি কিছু ভয়। যদু কহে এই ভাল আর কিছু নয় ॥ যাদবেন্দ্র । দুবাহু পসারি আগে যায় নন্দরাণী । ধরিতে ধরা না দেয় নীলমণি ॥ গৃহে পড়ি যায় দধি নবনীত । কোপ-নয়নে রাণী চাহে চারি-ভিত ॥ হেদে রে নবনী-চোরা বলি পাছে ধায়। এঘর ওঘর করি গোপাল লুকায় ॥ নড়ি হাতে নন্দরাণী যায় খেদাড়িয়া । অখিল-ভুবন-পতি যায় পলাইয়া ॥ এ তিন ভুবনে যারে ভয় দিতে নারে । সে হরি পালাঞ যায় জননীর ডরে ॥ রাণীর কোলে হৈতে গোপাল গেল পলাইয়া । আকুল হৈলা রাণী গোপাল না দেখিয়া ॥ ঘরে ঘরে উকটিল সকল গোকুল। তোমা না দেখিয়া প্রাণ হইল আকুল ৷ কার ঘরে আছে গোপাল বোলে ডাক দিয়া । তোমার মায়ের প্রাণ যায় বিদরিয়া ॥