পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান – গোবিন্দদাস—১৫১০-১৫১১ খৃঃ। >>(r@r এলাইয়া দিলা কেশ বারমুখী-দাসী । স্থির বিদ্যুতের পাশে যেন মেঘরাশি ॥ নিতম্ব ছাড়ায়ে পড়ে দীর্ঘ কেশজাল । নয়ন মুদিয়া রছে শচীর দুলাল। আশ্চৰ্য্য রূপের ছটা সকলে দেখিয়া । তাহার বদন-পানে রহে তাকাইয়৷ বারমুখী হাত যোড়ি কহে বার বার। বন্ধন কাটিয়া দেহ সন্ন্যাসী আমার ॥ বড়ই পাপিষ্ঠ মুঞি নরকের কীট। যদি দয়া নাহি কর যাব পিঠপিঠ ॥ দাসীরে বলিয়া দেহ কিসে ত্রাণ পাব। মরণাস্তে যম-ভয় কিরূপে এড়াব ৷ এই পাপদেহে আর কিবা প্রয়োজন। এত বলি দীর্ঘ কেশ করিলা ছেদন ॥ সামান্ত বসন পরি লজ্জা নিবারিল। যোড়হন্তে প্রভুর সম্মুখে দাড়াইল ॥ প্রভু বলে বারমুখী দুই চারি কথা । তোমারে কহিয়া দেই করহ সৰ্ব্বথা ॥ এই স্থানে করি তুমি তুলসী-কানন। ੋਂ তার মাঝে থাকি কর কৃষ্ণের সাধন ॥ তুমি কৃষ্ণ তুমি হরি বারমুখী বলে। এই মাত্র বলি পড়ে প্রভূ-পদতলে। বারমুখী পদতলে যখন পড়িল । তিন চারি পদ প্রভু আমনি হটিল ॥ আর যত লোক ছিল কাছে দাড়াইয়া। ধন্ত ধন্ত করে সবে বেশুারে দেখিয়া ॥ মীরাবাই দাসী বহু কান্দিতে লাগিল । হাসিমুখে বারমুখী তাহারে কহিল। কাণ দিয়া শুন মীরা আমার বচন । তোমারে দিলাম মোর যত আছে ধন ॥ - ভালরূপে সেবা করো অতিথি আইলে । হরিনামে মন দিও বসিয়া বিরলে ॥