পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہ سوالا لا কুমারহটে । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । তবে প্রভু ঈশ্বরপুরীর সৰ্ব্ব-অঙ্গে । আপনে শ্রীহস্তে লেপিলেন দিব্য-গন্ধে ৷ যত প্রীত ঈশ্বরের ঈশ্বরপুরারে। তাহা বর্ণিবারে কোন জন শক্তি ধরে ॥ আপনে ঈশ্বর শ্রীচৈতন্ত ভগবান। দেখিলেন ঈশ্বরপুরীর জন্মস্থান ॥ প্রভু বোলে কুমারহট্টেরে নমস্কার। শ্ৰীঈশ্বরপুরীর যে গ্রামে অবতার ॥ কান্দিলেন বিস্তর চৈতন্ত সেই স্থানে। আর শব্দ কিছু নাই ঈশ্বরপুরী বিনে ॥ সে স্থানের মৃত্তিক আপনে প্রভু তুলি। লইলেন বহিৰ্ব্বাসে বান্ধি এক ঝুলি ৷ প্রভূ বোলে ঈশ্বরপুরীর জন্মস্থান। এ মৃত্তিকা মোহর জীবন-ধন-প্রাণ ৷ হেন ঈশ্বরের প্রতি ঈশ্বরপুরারে । ভক্তেরে বাঢ়াতে প্ৰভু সব শক্তি ধরে ॥ প্রভু বোলে গয়া করিতে যে আইলাঙ। সত্য হৈল ঈশ্বরপুরীরে দেখিলাঙ ॥ আর দিনে নিভৃতে ঈশ্বরপুরী-স্থানে। মন্ত্ৰ-দীক্ষা চাহিলেন মধুৰ বচনে । পুরী বোলে মন্ত্র বা বলিয়া কোন কথা । প্রাণ অামি দিতে পারি তোমারে সর্বথা । তবে তান স্থানে শিক্ষণগুরু নারায়ণ । করিলেন দশাক্ষর মন্ত্রের গ্রহণ ॥ তবে প্রভু প্রদক্ষিণ করিয়া পুরীরে। প্রভু বোলে দেহ আমি দিলাঙ তোমারে ॥ হেন শুভ দৃষ্টি তুমি করহ আমারে। যেন আমি ভাসি কৃষ্ণ-প্রেমের সাগরে ৷ শুনিঞা প্রভুর বাক্য শ্ৰীঈশ্বরপুরী। প্রভুরে দিলেন আলিঙ্গন বক্ষে ধরি। । দোহার নয়ন-জলে দোহার শরীর । সিঞ্চিত হইল প্রেমে কেহো নহে স্থির ॥