পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিত্যখ্যান—লোচনদাস–১৫৩৭ খৃষ্টাব্দ । ు న(t এতেক বলিয়া দেবী কান্দিতে লাগিলা । নিমাই নিমাই বলি ডাকিতে লাগিলা ॥ বিরস বদনে দেবী করএ রোদন । মুখে নাহি সরে বাণী অরুণ-লোচন । পুত্রের হাব্যাসে দেবীর মন নাহি স্থির। মাথায় মারিল বা বহেত রুধির । প্রাণের নিমাই মোর কোথা গেলে তুমি । তোমা না দেখিয়া বা কেমনে জীব আমি ॥ এক তিল যদি তোরে না দেখি নয়নে । তখনে জানিয়ে আমি যুগের সমানে ॥ নিমাই বিহনে প্রাণ রাখিতে নারি অামি । কহিল তোমারে আমি মরিব এখনি । এ ছার জীবনে মোর কোন প্রয়োজন। নিমাই বিহনে ঘর হইল যে বন ॥ বনবাস করিব কিবা তেজিব জীবন। এই প্রকারে নাশ করিব জীবন ॥ এতেক বিলাপ যদি শচী দেবী কৈল । বিষ্ণুপ্রিয়া প্রবোধিতে কত জন গেল । বিষ্ণুপ্রিয়ার ক্ৰন্দনেতে পৃথিবী বিদরে। বিষ্ণুপ্রিয়া । পশু পক্ষী লতা পাতা এ পাষাণ ঝরে ॥ ক্ষণে মূৰ্ছা যায় শ্রীচরণের ধেয়ানে। সম্বরণ হয় হিয়া অনেক যুতনে ॥ প্রভু প্রভু বলি ডাকে অতি আৰ্ত্তনাদে । বিষ্ণুপ্রিয়ার ক্ৰন্দনেতে সৰ্ব্ব লোক র্কাদে ॥ প্রবোধ করিতে যেই যেই জন গেল। বিষ্ণুপ্রিয়ার কান্দনাতে কান্দিতে লাগিল । সব জন বলে হেন শুন বিষ্ণুপ্রিয়া। কি দিব প্রবোধ তোরে স্থির কর হিয়া । তোর অগোচর নহে তোর প্রভুর কায । বুঝিয়া প্রবোধ দেহ নিজ হিয়া-মাঝ ॥ কহএ লোচন ইহা কাতর-হৃদয় । এথা পহু গৌরচন্দ্র করিলা বিজয় ॥