পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—চৈতন্য-চরিতামৃত—১৬০৬-১৬১৫ খৃঃ । >ミ>Q মাতার আজ্ঞায় আমি বসি নীলাচলে । তাহা ধৰ্ম্ম শিখাইতে নাহি নিজ-বলে । এত সব কৰ্ম্ম আমি যে দেহে করিব । তাহা ছাড়িতে চাহ তুমি কেমতে সহিব ॥ তবে সনাতন কহে তোমাকে নমস্কারে। তোমার গম্ভীর হৃদয় কে বুঝিতে পারে । কাষ্ঠের পুতলী যেন কুহকে নাচায়। আপনে না জানে পুতলী কিবা নাচে গায় ॥ যৈছে যারে নাচাও তৈছে সে করে নৰ্ত্তনে । কৈছে নাচে কেবা নাচায় সেহো নাহি জানে ॥ হরিদাসে কহে প্রভু শুন হরিদাস । পরের দ্রব্য ইহে চাহেন করিতে বিনাশ ॥ পরের স্থাপ্য দ্রব্য কেহো না থায় বিলায়। নিষেধিহ ইহারে যেন না করে অন্যায় ॥ হরিদাস কহে মিথ্যা অভিমান করি । তোমার গম্ভীর হৃদয় বুঝিতে না পারি। কোন কোন কাৰ্য্য তুমি কর কোন দ্বারে। তুমি না জানাইলে কেহ জানিতে না পারে। এতাদৃশ তুমি ইহারে করিয়াছ অঙ্গীকার। যে সৌভাগ্য ইঙ্গর আর না হয় কাহার ॥ তবে মহাপ্ৰভু দোহার করি আলিঙ্গন। মধ্যাহ্ন করিতে উঠি করিলা গমন । সনাতনে কহে হরিদাস করি আলিঙ্গন । হরিদাস সনাতনে। তোমার ভাগ্যের সীমা না যায় কথন । পরস্পর প্রশংসা | তোমার দেহ প্রভু কহে মোর নিজ-ধন। তোমা সম ভাগ্যবান নাহি অন্তজন ॥ নিজ-দেহে যেই কাৰ্য্য না পারে করিতে । সে কাৰ্য্য করাবে তোমা সেছে মথুরাতে ॥ যে করাইতে চাহে ঈশ্বর সেই সিদ্ধ হয়। তোমার সৌভাগ্য এই কছিল না হয় ।