পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—ভক্তি-রত্নাকর—১৬১৪-১৬২৫ খৃঃ । ১২৫৭ শ্ৰীনিবাসাচার্য্যের এ বচন শ্রবণে । ব্যাকুল হইয়া রাজা পড়ে শ্রীচরণে ॥ কান্দিয়া কহয়ে মুঞি দস্থ্য-অধিকারী। করিলু কুক্ৰিয়া যত কহিতে না পারি ॥ প্রভু যবে বনপথে কৈলা আগমন । দূত-মুখে বার্তা মুঞি পাইলু তখন। অর্থ-প্রাপ্ত-হেতু হৈল আনন্দ আমার । গণাইলু গণকে সে গণিল নিৰ্দ্ধার ॥ অতি বড় মহাজন মহারত্ব আনে । হইব অবশ্য প্রাপ্ত অলপ সন্ধানে ॥ 蠶 অনুতাপ ও এ বাক্য শুনিয়া দস্থ্যগণে পাঠাইলু। প্রাণে না মারিবে কারু এতেক কহিলু{ দস্যগণ অনায়াসে গাড়ী লইয়া আইল । দেখিয়া সিন্ধুক মোর মহাহৰ্ষ হইল । সিন্ধুক খুলিয়া দেখি গ্রন্থ-রত্বগণ। দর্শন মাত্রেতে মোর ফিরি গেল মন । হুৈলু উৎকণ্ঠিত গ্রন্থ-অধ্যক্ষে দেখিতে। শীঘ্ৰ পাঠাইলু দূতগণে অন্বেষিতে ॥ অন্তর্যামী প্ৰভু তুমি পতিত-পাবন। মু অধমে অকস্মাৎ দিলা দরশন ॥ দর্শন মাত্রেতে আত্ম-সমপিলু পায় । অপরাধ ক্ষমি কৃপা করহ আমায় ॥ মোরে মহাপাপী দেখি ঘৃণা না করিবে । পাপে মুক্ত হঙ (১) যৈছে উপায় কহিবে । এত কহি পড়ি আচার্য্যের পদতলে । আচার্য্যের চরণ সিঞ্চয়ে নেত্র-জলে ৷ দেখিয়া রাজার অতি ব্যাকুল হৃদয়। আচাৰ্য্য করিল অনুগ্রহ অতিশয় ॥ অশেষ-প্রসঙ্গে রাত্রি প্রভাত হইল। কহিতে কি প্রেমের সমুদ্র উথলিল । )(21グ