পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JeNు বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । আমার মত তোমার অনেক রমণী, তোমার মত আমার তুমি গুণমণি ; যেমন দিনমণির কত কমলিনী, —কমলিনীগণের একই দিনমণি ; নেত্র-পলকে যে নিন্দে বিধাতাকে, এত ব্যাজে দেখা সাজে কি হে তাকে, বঁধু! যা হোক দেখা হ’ল, দুখ দূরে গেল,—যাক হে— এখন গত কথার আর নাই প্রয়োজন ॥ আমার হৃদকমলে রাখিয়ে শ্ৰীপদ, তিল-আধ ব’স, ব’স হে শ্ৰীপদ । না সেবিয়ে পদ, হ’ল যে বিপদ, সে বিপদ ঘুচাইব সেবি পদ ; যদ্যপি বিরহে তাপিত হৃদয়, তাহে তাপিত না হ’বে পদদ্বয় ; বঁধু , কোটি শশী শীতল হতে সুশীতল, তোমার পদতল, একবার পরশেতে শীতল হইবে এখন। (কোন উত্তর না পাইয়া) রাগিণী—সুরট-যোগিয়া, তাল—আড়া। এই যে নব ভাব সব দেখা’লে শ্ৰীবৃন্দাবনে। বঁধু! মান ক’রে কি মৌনী হ’য়ে দাড়ায়ে র’লে ওখানে ॥ রাগিণী—মনোহরসাহি, তাল—লোভা । ওহে তিলেক দাড়াও, দাড়াও হে,— —আমন ক’রে যাওয়া উচিত নয়। —দাড়াও হে দুঃখিনীর বঁধু!— ও হে যে যার শরণ লয়, নিঠুর বঁধু! বল তারে কি বধিতে হয় হে ? তাল—পোস্তা। হেথা থাকৃতে যদি মন না থাকে, তবে যেও সেথাকে। যদি মনে মন রত, না হয় মনের মত, কা’দলে প্রেম আর কত বেড়ে থাকে ?