পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজিয়া-সাহিত্য-নরেশ্বর দাসের চম্পক-কলিকা—১৮শ শতাব্দী। ১৬৪৫ উজীর ঠাকুর বলি ডাকে ঘনে ঘন। নিদ্ৰা হৈতে চমকি উঠিলা সনাতন ॥ সকল উকিল তবে কৈল নমস্কার। পাতসার আজ্ঞা হৈল উজীর আনিবার ॥ আজ্ঞা মানি সাক্ষাতে চলিলা সনাতন। পাতসার সাক্ষাতে গিয়া দিলা দরশন ॥ দণ্ডবৎ করি দণ্ডাইলা সনাতন। পাতস পুছেন ভাই কান্দ কি কারণ ॥ এ কথা শুনিঞ তবে সনাতন হাসে। কোন বেটা এমন কথা কহে তুমার পাশে ॥ সে জন আমার বৈরি মিথ্যা কথা কহে । সাক্ষাতে কহে জানি কেমন মহাশয়ে ॥ ঈষৎ হাসিয়া পাতসা পুছেন বচন । মিথ্যা না কহিয়া কিছু কহ সনাতন ॥ তোমার শ্রীরূপ ছিল অতি প্রিয় পাত্র। সাক্ষাতে বৈসন ছিল শয়ন একত্র ॥ বৈরাগ্যের আশঙ্কা । হেন প্রাণের প্রিয় ছাড়ি গেল যেই দেশে। হেন বুঝি যাইবে তুমি তাহার উদ্দেশে ৷ পোতার মির্ধ সেখ হবুব বাড়ী ফতেপুর। হামেশা থাকয়ে সেই পাতসার হুজুর ॥ তাহারে ডাকিয়া পাতসা কহে বারে বারে। সনাতন রাখ লঞা বন্দি-শালা ঘরে ॥ সনাতন বন্দী। আশে-পাশে পহরী রহয় অবিরত। সপ্ত বৎসর পর্য্যন্ত থাক এই মত ॥ সেথ হবুবেরে ডাকিঞা কহেন সনাতন। মোরে দুঃখ দিঞা তোমার কোন প্রয়োজন ॥ সেখ হবুব বলে ঠাকুর কি বল আমারে। পাতসার আজ্ঞা বিস্তু কি করিতে পারে। আমা হৈতে কোন কাৰ্য্য জান উপদেশ। তোমার দুঃখ দেখি মোর তন্তু হএ শেষ ॥ এ কথা শুনিএঃ হাতে ধরিলা সনাতন। বন্দী হৈতে তুমি মোরে করহ মোচন ॥ কারামুক্তির চেষ্ট৷