পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজিয়া-সাহিত্য—নরেশ্বর দাসের চম্পক-কলিকা—১৮শ শতাব্দী। ১৬৪৭ বায়ুগতি মত হঞ চলে নরেশ্বরে। শুনিল গৌরাঙ্গ-চাদ আছে কাশীপুরে ॥ নিকটে যাইতে অঙ্গ কাপে থরেথর । দরিদ্র পাইল যেন পরশ পাথর ॥ কাশীতে মিলন । দাণ্ডাইয়া অন্তঃস্বরে ভাবে মনে মন । কিরূপে পাইব আমি প্রভুর দর্শন ॥ ফকীর ফকীর বলি বোলে সৰ্ব্বজন । জানিলেন মহাপ্রভু আইলা সনাতন ॥ অন্তরে উল্লাস বড় পুলক শরীর। আনহ ডাকিয়া দেখি কেমন ফকীর ॥ ফকীর ফকীর বলি ডাকে একজনে । মহাপ্রভুর দর্শন আসি করহ আপনে ॥ এ কথা শুনিঞ তবে হৈলা কাতর। দন্তে তৃণ ধরি তবে আইলা গোচর ॥ মহাপ্রভূ দেখি তারে উঠিলা আপনে । দণ্ডবৎ হঞা তবে পড়িলা চরণে ॥ উঠ উঠ বলি প্রভু করিলা আলিঙ্গন। চিরদিনে পাইল আজি তোমার দর্শন ॥ অস্পৃশু পামর আমি অতি বড় হীন। আমাকে স্পশিতে প্রভু নহে কোন দিন ॥ তবে যে করুণা কর আপনার গুণে । দেখিলে নিন্দিবে সব পাষণ্ডীর গণে ॥ এ বোল বলিতে অশ্রু নয়ন-যুগলে। মোর সম পাপী আর নাহি কোন স্থলে ॥ চরণামৃত পাইতে করি আরাধন। বৃন্দাবনে গিঞা পাই রূপের দর্শন। প্রভু কহে এ মনস্থ লভিব তুমারে। বৃন্দাবনে দুই ভাই করিবে বিহারে । চাদমুখে বলে গোরা চল শীঘ্ৰগতি । অবিলম্বে পাবে তুমি স্বরূপ-সংহতি । আজ্ঞা বলবান করি করিলা গমন। কালিন্দী যমুনা বলি করিল স্মরণ ॥