পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজিয়া-সাহিত্য—অকিঞ্চন দাস—১৮শ শতাব্দী । ృు(లి ভরমে সে অধ্যাপক না বুঝয়ে ইহা । হয় নয় ভাই সব বুঝ মন দিয়া ॥” বাসুদেব আত্মারূপে অখিলে বিহরে । শাস্ত্র পড়ি ভরমে কেহ বুঝিতে না পারে। বুঝে বুঝায় পড়ে পড়ায় হেন জন যেহ। আত্মা নাহি জানে রস পাদদও সেহ ॥ মহৎ-কৃপা বিনে শক্তি কেহ নাহি বুঝে। আকৰ্ষিয়া হরে কভু কেহ না সমঝে ॥ আত্মা সে বহিয়ে গেলে পুত্রের জনম। ‘আত্মা বৈ জায়তে পুত্রো বেদের লিখন । পিণ্ড প্রয়োজনার্থে পুত্ৰজন্ম দেয়। বৈরাগ্যের ধৰ্ম্ম নহে সংসারী নিশ্চয় ॥ যাহাতে সাধন হয় তাহাতে সেবক । মৰ্ম্ম না বুঝিয়া হেন করে সর্বলোক ॥ ধৰ্ম্মহীন হেন আচরয়ে যেই জনে। অসাধু তাহারে কহি বিবৰ্ত্তকরণে ॥ অতএব শুন সবে করি নিবেদন । মৰ্ম্ম না বুঝিলে নহে এই আচরণ ॥ কি হইবে কি করিবে প্রণয় করিয়া । কতু না করিবে প্রতি তত্ত্ব না জানিয়া ॥ নতুবা সে ধৰ্ম্মহানি লোকে উপহাস। আত্মা নষ্ট হবে জাতে প্রাপ্তিতে নৈরাশ ॥ রূপের আশ্রয় আগে সাধু-সঙ্গে হবে। তবে ঐছন ধৰ্ম্ম করিতে পরিবে ॥ শাস্ত্র পড়ি কর্ণে শুনি আশ্রয় না হয়। মহৎ-কৃপা জনেতে দীপ্তি সে করয় ॥ “ম্পর্শ মণির স্পর্শে সন্ত লৌহ স্বর্ণ হয়। লৌহ স্বর্ণ হয় তবু সামান্ত কহয় ।” সেই সব বস্তু ইহা যদি লোহাতে পরশে । পুনঃ লৌহ স্বর্ণ হইলে জানিএ বিশেষে ॥ কতু তাহ নাহি হয় দেখ বিচারিয়া। সাধু-সঙ্গ কর তবে জুড়াইবে হিয়া ॥