পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজিয়া-সাহিত্য—যুগলকিশোর দাস—১৮শ শতাব্দী। SVN)(t সেই স্বর্ণ রহে যদি তাম্রের সমীপে । স্বর্ণমাত্র প্রায় সেই নহে ভালরূপে ॥ ইহার বিশেষ কিছু না যায় কথন। পঞ্চ রোগে অবশ আছএ সৰ্ব্বক্ষণ ॥ . এথে যদি কোন স্থানে সাধু বৈদ্য পাই। যত্ন করি তাহার ঔষধ তবে খাই ॥ জ্ঞান-দাতা গুরু জ্ঞান-লুব্ধ শিষ্য যেই। শুনিলে এ সব তথ্য বুঝিবেক সেই ৷ সতীর্থ পরমার্থ বর্গে মোর নিবেদন । অকথ্য কথন এই না যায় কথন। তবে যে কহিয়ে ইহা কোন অনুরোধে । বহিমুর্থ জনে ইহা পড়িবা বিরোধে ॥ সবিরোধ কাৰ্য আছে কোন প্রয়োজন। আপন আপন স্থানে করেছ শ্রবণ ॥ অন্তত্তরে ফুৱতি নাহি কর্য এই ধ্বনি। (১) এহাতে অকথ্য দিব্য মোর এই বাণী ॥ এইত কহিল আত্মবোধ-নিরূপণ। এবে কহি শুন পাত্র বস্তু যে গ্রহণ | বস্তু হইতে পাত্র জানি উদ্ভব হয়। বস্তু পত্রময় এক স্বরূপ কহয় ৷ বস্তু হইতে পাত্র জানি শুনহ কারণ। কালেতে উদয় করে নহে সৰ্ব্বক্ষণ ॥ বালক-কালে ভেল হে পেীগণ্ডের ধৰ্ম্ম । বালকে অজ্ঞান পেীগণ্ডে জ্ঞান-মৰ্ম্ম ॥ কৈশোরে রসের জ্ঞান হয় উদ্দীপন । বস্তু হৈতে পাত্র জানি করএ গ্রহণ ॥ মধু আনি মধু-মাছি চাক করে যবে। নানান পুষ্পের মধু যোগ করি তবে ॥ বহু পুষ্প হৈতে মধু করে আরোপণ । সেই পুষ্প পুনঃ তার কোন প্রয়োজন ॥ (১) অন্তের নিকট এই কথা কহিবার নহে। ૨ ૭ જ