পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য-মার্সম্যানের ভারত-ইতিহাস–১৮৩১ খৃঃ। ১৭৪৭ অপর কোর্ট অফ ডৈরক্তস সাহেবের পুনশ্চ এই নিবেদন করিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের জজ সাহেবের ইংগ্রগু দেশের চলিত ফৌজদারী ব্যবস্থা সকল ভারতবর্ষের মধ্যেও চালাইতে ইচ্ছা করিয়াছেন। কিন্তু সেই সকল ব্যবস্থার ভারতবর্ষায় ব্যবহার ও ব্যবস্থার সহিত অনেক বৈপরীত্য ইহা জানিয়াও ভারতবর্ষে যে অপরাধেতে প্রাণদণ্ড হয় না এমত অপরাধেতে জজ সাহেবের মহারাজ নন্দকুমারকে অভিযুক্ত করিয়া তাহার দোষ সাব্যস্ত করণ পূর্বক তাহার প্রাণদণ্ড করিয়াছেন। অনন্তর ঐ কোর্ট আফ ডৈরক্তস সাহেবেরা বাদশাহের মন্ত্রীর দিগকে জ্ঞাপন করিলেন যে ইংগ্রগুদেশে ব্যবহৃত ফৌজদারী আইন সকল কোনপ্রকারে ভারতবর্ষের মধ্যে প্রচলিত হইতে পারে না তাহার এক বিশেষ উদাহরণ তাহারা এই দিলেন যে ইংগ্রগুদেশানুযায়ী ব্যবস্থাক্রমে যে ব্যক্তি এক স্ত্রী সত্ত্বে অন্ত বিবাহ করে তাহার প্রাণদণ্ড হয় এই ক্ষণে বঙ্গদেশের সুবাদারের এক স্ত্রীর অধিক আছে তাহাকে আপনারা ইংগ্রগুদেশের ব্যবস্থানুসারে কি ফঁাসি দিবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই যে সকল অন্তায়াচরণের বিষয়ে বাদশাহের মন্ত্রীর দের নিকটে কোর্ট অফ ডৈরক্তস সাহেবেরা নিবেদন করিলেন তাহার কএক প্রমাণ দেওয়া উচিত বোধ হয়। বিশেষতঃ ১৭৭৭ সালের ২রা জানুআরি তারিখে পাটনার প্রবিন্স্যল কৌন্সেল সাহেবের দের সমক্ষে এক মোকদম উপস্থিত হয় তদ্বিবরণ এই এক ধনাঢ্য মুসলমান মরিল তাহার এক পত্নী ও এক ভ্রাতৃপুত্র ছিল ঐ ভ্রাতৃপুত্র পোষ্যপুত্রের হায় তাহার নিকটে থাকিত পরে ঐ বিধবা আপনার পক্ষে মৃত স্বামীর এক দানপত্র দর্শাইয়া তাবৎ সম্পত্তির দাওয়া করে ভ্রাতৃপুত্ৰ কহিল যে ঐ দানপত্র কৃত্রিম এবং মরণের কিঞ্চিৎকাল পূৰ্ব্বে আমার পিতৃব্য হতবুদ্ধি হইয়াছিলেন অতএব ঐ দানপত্র কোন প্রকারে সিদ্ধ হইতে পারে না। ইহাতে পাটনার কোন্সেলী সাহেবের দের নিকটে তাহার মোকদম উপস্থিত হয় এবং ঐ সাহেবেরা আদালতের রীত্যনুসারে বিবেচনা পূৰ্ব্বক ঐ মোকদ্দমার নিষ্পত্তি করিতে মুসলমানের শরানুসারে একজন কাজী ও দুই জন মুফতিকে হুকুম করিলেন র্তাহারা তদ্বিষয় অতি সূক্ষ্মরূপে বিবেচনা করিয়া এই রিপোর্ট করিলেন যে ঐ বিধবা কিম্বা ভ্রাতৃপুত্র উভয়ের মধ্যে কেহই সেই সম্পত্তিতে আপনার স্বত্বাধিকারের প্রমাণ দিতে পারে নাই অতএব মুসলমানের শরানুসারে ঐ সম্পত্তির তৃতীয়াংশ ঐ বিধবাকে এবং অবশিষ্ট ঐ ভ্রাতৃপুত্রের পিতৃব্য অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির ভ্রাতাকে দেওয়ান যাউক তাহাতে কৌন্সেলী সাহেবেরা তাহারদের তাবৎ কাগজপত্র অতি সাবধানে বিবেচনা করিয়া