পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য—ঈশ্বর গুপ্ত—জন্ম ১৮১১ খৃঃ । ইহার পূৰ্ব্বে কোন মহাশয় এতদেশীয় কোন কবির জীবন-চরিত প্রকাশ করেন নাই এবং এতৎপ্রকাশের কি ফল তাহাও কেহ জ্ঞাত হয়েন নাই। আমরা প্রথমেই ইহার পথ-প্রদর্শক হইলাম। এতৎপাঠে বিশেষ উপকার বিবেচনা করিয়া যদি সকলে গ্রাহকতা ব্যাপারে উপযুক্ত রূপ প্রযত্ন প্রকাশ করেন তবে আমরা অশেষানন্দ লাভ করিয়া ক্রমে ক্রমে এই নিয়মে এক এক কবির বিষয়ে এক এক গ্রন্থ প্রকাশ করিব। তদ্বারা দেশের যে কত প্রকার উপকার হইবে তাহ বাক্যযোগে ব্যক্ত হইবার নহে। এই পুস্তক যাহার প্রয়োজন হইবে তিনি আমারদিগের এই প্রভাকর যন্ত্রালয়ে তত্ত্ববোধিনী সভার কার্য্যালয়ে হুগলি কলেজের ছাত্র বাবু নবকৃষ্ণ রায়ের নিকট অথবা পটলডাঙ্গার চীফ লাইব্রেরীতে স্বয়ং যাইলে কিম্বা মূল্যসহিত লোক পাঠাইলে প্রাপ্ত হইতে পরিবেন ইতালং বিস্তরেণ। ১লা আষাঢ় ১২৬২ প্রভাকর যন্ত্ৰালয় । সংশোধিতামপি ময়া বহুল প্রয়াসৈ বাক্যাবলীং পুনরিমাং প্রতিশোধয়ন্তু। সন্তঃ মুশান্তনয়নান্তনিরীক্ষণেন কৃত্বা কৃপামিহ ময়ীশ্বরচন্দ্র গুপ্তে ॥ কলিকাতা শ্ৰীঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সংবাদ-প্রভাকর-সম্পাদক । কৰিবর ৮ ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন-বৃত্তান্ত জানিবার নিমিত্ত বিদ্যোৎসাহী মনুষ্য মাত্রেই বিষমতর ব্যগ্র হইয়া থাকেন। কারণ ইনি সৰ্ব্বাংশেই প্রধান ছিলেন। ইহার পাণ্ডিত্য ও কবিত্ব বিষয়ের গুণের ব্যাখ্যা করিয়া শেষ করিতে পারা যায় না। বঙ্গভাষার কবিতা পাঠে এই মহাশয়কে অদ্বিতীয় কবি বলিয়াই মান্ত করিতে হইবে। ভারতের বিরচিত কাব্য এ পর্য্যন্ত পুরাতন হইল না চিরকাল নূতন রহিল সকল সময়েই নূতন বোধহয় প্রত্যেক বিষয়েই মনকে মোহিত করে। কোকিল বসন্তআগমনে—মধুকর প্রফুল্ল-পঙ্কজ-মধুপানে—চাতক নবনীল-নীরদ-নিৰ্গতনীর-পানে—চকোর পরিপূর্ণ-শরদিন্দু-মুধাপানে—ভুজঙ্গ সুশীতল মৃদুল দক্ষিণ সমীরণ-সেবনে—সাধবী স্ত্রী পতিসুখ-সম্ভোগে—রসিকজন রসালাপআস্বাদনে—এবং দরিদ্র ব্যক্তি প্রচুর ধন-প্রলাভে যে প্রকার সুখানুভব না করে ভাবগ্রাহী অনুরত জনেরা ভারতচন্দ্রের প্রণীত রসভেদের কবিতা পাঠে ততোহধিক মুখাস্বাদন গ্রহণ করিয়া থাকেন। সুতরাং >b">Q অদ্বিতীয় কবি ভারতচন্দ্র ।