পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট—কর্তাভজা লালশশী—১৮শ শতাব্দী। b^రిగి দেখ দিন গেলে রাতকাণ পাখীর ছানা আনাগোনা করছে গগন-পথে ॥ (১) ( , ) আমারে জিন্ম করে সমরে দিলেন গুণময়। আমার পুজি আমার সেই গুরুজী যা মরজি রাজী হতে হয় । , যখন আশা করে বাসরে আসি একাকী, দশদিগে দশ দশার সৌভাগ্যে সঙ্গিগণ দেখি, আমলা ফয়লা বলায় কল্যারা, আমলা হয়ে আমল পেয়ে কল্যে মাতোয়ারা, কারো আমি তো ভাই না ধারাই কেবল দেখতে পাই তোরাই প্রতিবাদী ॥ ( v ) দেখ গরজী বুঝে যারে যে দিচ্ছে এসে দেখা । নিশি দিনে ভাবছি মনে মনে এ ক্ষণে সেই প্রাণের সখা ॥ এমন মনোভঙ্গ প্রসঙ্গ সঙ্গ যদি হয়, কণ্ঠদভাবে মানবে তিনে হইবে কলির পরাজয়, যারা এ সব দফা হয়ে রফা তোমা করে আশ, লালশশী রচে কণ্ঠদ লাগল পিছে। সেই পেচে ঘুরণে পাকে ঘুরি। ( ; ) দেখ রাত্র প্রভাত মুদিত হচ্ছে কুমুদিনী। ঐ সময়ে পূর্ণচন্দ্র ঘুমিএ ধরিএ ফুটছে কামিনী ৷ কার ভাস্কর উদয় সুধাচয় জাগায় আসিয়ে, কারু মধ্যে অবাদে শশী নিশিবৰ্ত্তে অমিয়ে, এরা বন্ধুভাবে উদয় হয়ে দিব। আর নিশি, মধুকর নিরন্তর পরপ্রত্যাশী, লালশশী হৃদে অলি এসে সাধে আমাদের করছে মধ্যে ধ্বনি ॥ (১) এখানে প্রকাস্তে মুক্তির পথ নাই। সহজ-পথের লোকের গোপনে সাধন করে, রাতকাণ পার্থীর ছানারা অন্ধকারে গতিবিধি করিতেছে। সহজিয়াদের মিলন রাত্রিতে অতি গোপনে হইয়া থাকে।