পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট—সমসের গাজির পুথি–১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ । >b"(rS দুর্লভ পৃথিবী-মাঝে এ হেন রতন। পাইয়াছ আরাধিয়া হেন পতি-ধন ॥ মায়ের চরণ ধরি বলে গাজিবর। আজ্ঞা দেও সোণ পেট মোড়াই তোমার ॥ ধরিলা এহেন পুত্র তোমার উদরে। বাঙ্গালাতে হেন পুত্ৰ আছে কার ঘরে । মাতায় বলিলা পুত্ৰ কৃপায় আল্লার। পাইলাম হেন পুত্ৰ ভাগ্যে আপনার ॥ প্রিয়াগণ বলে গাজি সৌভাগ্য আমার। পাইলাম হেন স্বামী কৃপায় খোদার ॥ তবে গজি সেই ধন চারি ভাগ কৈল । দুই নারী ও মাতাকে এক অংশ দিল । গরীব মিচ্‌কিনে কৈল এক অংশ দান। একাংশ রাখিল নিয়া গাজি অন্ত স্থান ৷ পাতের বৃক্ষে বৃক্ষে কুলুপ করি রাখে। বৃক্ষের কোটরে অর্থনিৰ্জ্জনে রাখিল ধন কেহ নাহি দেখে ॥ রক্ষণ । রাখিয়া পাহাড়ে ধন কাটিল স্বতারে। কেহ যেন গুপ্ত ধন জানিতে না পারে। আর এক অংশ ধন নিল নিজ-সঙ্গে । চলিল সাজিয়া গাজি অতি মন-রঙ্গে ॥ পাচ পাচ অশ্ব দ্বারা করিয়া কাতার । দশ দশ হস্তী পরে বান্দিলা আম্বার ॥ আর যত অশ্ব গজ করি শোভাকার । বান্ধিলা নিশান ডঙ্কা বিবিধ প্রকার ॥ বাদ্য বাজে নানা যন্ত্রে উঠে জয়ধ্বনি । গাজির মুরশিদাবাদনানান মধুর বাদ্যে বিদরে পরাণী ॥ যাত্রী। বাজী সব নানা বর্ণ দেখি নানা রঙ্গ । ভুলিলেক নর নারী পুলকিত অঙ্গ। নুরবক্স পুত্র তার নিজের জীবন। সঙ্গে করি লইলেক সেই পুত্ৰ-ধন। না পারে রহিতে পুত্র না দেখে ক্ষণেক । তেকারণে নিজ-নারী সঙ্গে চলিলেক ॥