পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मष्प्लेमौछु 83షి তাহার এত চেণ্টা কেন। সে যদি কিছুই না করিত, চারার মনোযোগ আক্ষষণের জন্য সবদাই তাহার যদি প্রয়াস না থাকিত, তবে স্বামীর পজা চারীর পক্ষে সহজসাধ্য হইত। চারীর একান্ত ইচ্ছা, ভূপতি কোনো অংশেই নিজেকে চারীর অপেক্ষা ছোটো না করিয়া ফেলে। চার খাতাখানা মুড়িয়া বালিশে হেলান দিয়া দরের দিকে চাহিয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া ভাবিতে লাগিল। অমল ও তাহাকে নতন লেখা পড়িলার জন্য আনিয়া দিত। সন্ধ্যাবেলায় উৎসকে ভূপতি শয়নগহের সম্মুখবতী বারান্দায় ফলের টবপর্যবেক্ষণে নিযুক্ত হইল, কোনো কথা জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করিল না। চার আপনি বলিল, "এ কি তোমার বন্ধর প্রথম লেখা।” ভূপতি কহিল, “হাঁ।” চার্য। এত চমৎকার হয়েছে—প্রথম লেখা বলে মনেই হয় না। ভূপতি অত্যন্ত খুশি হইয়া ভাবিতে লাগিল, বেনামি লেখাটায় নিজের নামজারি করা যায় কী উপায়ে । ভূপতির খাতা ভয়ংকর দ্রুতগতিতে পণ্য হইয়া উঠিতে লাগিল। নাম প্রকাশ হইতেও বিলম্বব হইল না। সপ্তদশ পরিচ্ছেদ বিলাত হইতে চিঠি আসিবার দিন কবে, এ খবর চার সবদাই রাখিত। প্রথমে এডেন হইতে ভূপতির নামে একখানা চিঠি আসিল, তাহাতে অমল বউঠানকে প্রণাম নিবেদন করিয়াছে; সুয়েজ হইতেও ভূপতির চিঠি আসিল, বউঠান তাহার মধ্যেও প্রণাম পাইল। মালটা হইতে চিঠি পাওয়া গেল, তাহাতেও পুনশ্চ-নিবেদনে বউঠানের প্রণাম ठामिठन् ! . চার অমলের একখানা চিঠিও পাইল না। ভূপতির চিঠিগুলি চাহিয়া লইয়া উলটিয়া পালটিয়া বারবার করিয়া পড়িয়া দেখিল— প্রণামজ্ঞাপন ছাড়া আর কোথাও তাহার সবথে আভাসমারও নাই। ,' চার এই কয়দিন যে-একটি শান্ত বিবাদের চন্দ্রাতপছায়ার আশ্রয় লইয়াছিল অমলের এই উপেক্ষায় তাহা ছিন্ন হইয়া গেল। অন্তরের মধ্যে তাহার হৎপিণ্ডটা লইয়া আবার যেন ছোড়াছে’ড়ি আরম্ভ হইল। তাহার সংসারের কতব্যস্থিতির মধ্যে আবার ভূমিকম্পের আন্দোলন জাগিয়া উঠিল। এখন ভূপতি এক-একদিন অধরাত্রে উঠিয়া দেখে, চার বিছানার নাই। খাজিয়া খাজিয়া দেখে, চার দক্ষিণের ঘরের জানালায় বসিয়া আছে। তাহাকে দেখিয়া চার তাড়াতাড়ি উঠিয়া বলে, “ঘরে আজ ষে গরম, তাই একটা বাতাসে এসেছি।” ভূপতি উদবিগ্ন হইয়া বিছানায় পাখা-টানার বন্দোবস্ত করিয়া দিল, এবং চায়র স্বাস্থ্যভঙ্গ আশঙ্কা করিয়া সবাদাই তাহার প্রতি দটি রাখিল । চার হাসিয়া বলিত, “श्राभि ट्वभ आहि, छूभि एकन भिशर्भािइ बान्ठ श७ ।” ७हे शनिप्लेक्नु भट्रेणैोईझा छूजिष्ठ অমল বিলাতে পেছিল। চার স্থির করিয়াছিল, পথে তাহাকে স্বতন্ম চিঠি