পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় S ক্ষেত্র" বলিতেন। তৎকালের এই কালীক্ষেত্র, বহুল হইতে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অনেকে এই বহুলাকে বর্তমান কালের "বেহালা” বলিয়া অনুমান করেন। এই “কালীক্ষেত্রের সীমার মধ্যে, কোন একটা স্থলে বিষ্ণুচক্রে ছিন্ন হইয়া, সতীদেহের অঙ্গুলি পড়িয়াছিল। এই জন্ত, সেই স্থানে আর দেবীমূৰ্ত্তি—কালী। অনেকের মতে, এই কালীক্ষেত্র হইতেই কলিকাতা নাম হইয়াছে, এবং কালীক্ষেত্র ও কালীঘাট যে বিভিন্ন স্থান,এসম্বন্ধে অনেকে অনেক কথা বলিয়াছেন । গৌড়েশ্বর বল্লাল-সেনের সময়ে, “কালীক্ষেত্ৰ” স্থানটী বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিল । বল্লালের এক দান পত্র হইতে জানা যায়, যে তিনি “কালীক্ষেত্ৰ” নামক এই বিস্তৃত ভূভাগটা এক ব্রাহ্মণকে দান-পত্ৰ লিথিয়া দান করিয়াছিলেন। ইহার পর হইতে ১৪৯৫ খৃষ্টাৰ পৰ্য্যস্ত এই “কালীক্ষেত্রের” আর কোন সন্ধানই পাওয়া যায় না ; “দিগ্বিজয়—প্রকাশ” বলিয়া একখানি সংস্কৃত ভূগোল ও ইতিহাস আছে। এই বহুমূল্য গ্রন্থখানি সেকালের একজন প্রাচীন কবি, কবিরুমের রচিত । . কবিরাম মগধ বা আধুনিক বিহারের কোন রাজার সভাপণ্ডিত ছিলেন । * কবিরামের গ্রন্থে—"কিলকিলা” বলিয়া একটা স্থানের বিবরণ আছে। এই বিবরণ হইতে জানা যায়—কিলকিলা একটী বিস্তৃত ভূভাগ ছিল—ও তাহার সীমার মধ্যে, অনেক বড় বড় নগর ও গ্রাম ছিল। কবিরাম—সম্ভবতঃ স্তনামপ্রসিদ্ধ, যশোরেশ্বর মহারাজ প্রতাপাদিত্যের সমসাময়িক । আমরা নিম্নে কবিরামের “কিলকিলার” সম্বন্ধে লিখিত বিবরণটা, বিশ্বকোষ মহাভিধান হইতে সংগ্ৰহ করিয়া দিলাম। স্থানাভাব জন্ত, মূলভাগ পরিত্যক্ত হইল। “পশ্চিমে সরস্বতী ও পূৰ্ব্বে গঙ্গানী ইহার মধ্যে একুশ যোজন পরিমিত কিলকিল-ভূমি। ইহা দুইভাগে বিভক্ত। দানগলী নদীর পশ্চিমে, গঙ্গার নিকটে শাড়েশ্বরী দেবী বিরাজ করিতেছেন। এখানে উপবাস করিলে কুষ্ঠাদি দারুণ রোগ, দেবীর রূপার আরোগ্য হয়। মাহেশ ও খড়গাহ ( খড়দহ ) গ্রামের মধ্যে, দীর্ঘ-গঙ্গার নিকট ফুলপাল নামক রাজা বাস করিতেন । কেহ কেহ বলেন, গঙ্গা নদীর তটে অনুপদেশ সমূহের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম বার্তাভূমি (?) আছে। এখানে কদলী, পৃক্ষিপণী, সুপারি প্রভৃতি

  • কবিরাম, পুটিলীপুত্র নগরবাসী একজন বৌদ্ধ পরিব্রাজক। ಶ್ಗ হইয়া তিনি আনাম দেশ পর্য্যন্ত ভ্রমণ । তিনি যে সমস্ত দেশে ভ্রন্থ তাহাৰ ভৌগলিক ও ইতিহাসিক ইত্ৰৱৰি প্ৰকাশ" লিপিবদ্ধ াৈই।