পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। & খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করিয়া, ভারতবর্ষের নানাস্থানে নিক্ষেপ করিলেন । সতী-দেহের এই ছিন্নাংশ যেখানে যেখানে পড়িয়াছিল—সেই সকল স্থান "পীঠ" বা “শক্তিক্ষেত্রে” পরিণত হয়। “পীঠমালা” নামক গ্রন্থে, প্রধান প্রধান পীঠ-স্থানের বৃত্তান্ত লিখিত আছে। হিন্দুমাত্রেই এই সকল পীঠের নাম শুনিয়াছেন—এস্থলে তাহার পুনরুল্লেখ সুতরাং নিম্প্রয়োজন। “পীঠমালায়" দেখা যায়—সতীর দক্ষিণ পদের অঙ্গুলী, কালীঘাটে পড়িয়াছিল । এই জন্য কালীঘাট পবিত্র শক্তি-পীঠ। প্রত্যেক পীঠে শিব ও শক্তি অর্থাৎ দেবতা ও ভৈরব বিরাজিত থাকেন। কালীঘাটের কালী-পীঠের দেবতা, মহাশক্তি রূপিণী কালী ও পীঠ-রক্ষক ভৈরব নকুলেশ । সতীস্নেহ বশতঃ, শিব লিঙ্গরূপ ধারণ করিয়া, কালীঘাটে নকুলেশ্বর_নামে বিরাজ করিতে লাগিলেন এবং ব্রহ্মা শিবের সন্তোষের জন্য, এই স্থানে একটা কালীমূৰ্ত্তি স্থাপন করিলেন। চূড়ামণি তন্ত্রে আছে— * নকুলেশঃ কালী-পীঠে দক্ষ পাদাঙ্গুলীমুচ * সৰ্ব্বসিদ্ধিকর দেবী কালিকা তত্র দেবতাঃ ॥ ইহাই কালীঘাটের উৎপত্তির পৌরাণিক ইতিহাস। কালীঘাটের বিস্তৃতি সেই পুরাকালে কতদূর ছিল, তৎসম্বন্ধে নিগমকল্পে পীঠমালায় বিশেষ ভাবে উল্লেখ আছে। আমরা এই পীঠমালা হইতে দেখিতে পাই—“দক্ষিণেস্বর হইতে বহুলা • পর্যন্ত দুই যোজন ব্যাপ্ত ধন্থকাকার কালীক্ষেত্ৰ। তন্মধ্যে এক ক্রোশ ব্যাপ্ত ত্রিকোণাকার স্থানের মধ্যে, ত্রিকোণে—ত্রিগুণাত্মক ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, শিব এবং মধ্যস্থলে মহাকালী নামক কালিকাদেবী বিরাজ করেন। যেখানে নকুলেশ ও গঙ্গা বিরাজিত, সেই স্থান মহাপুণ্য ক্ষেত্র । তাহা দেবতার দুলভ। কাশীক্ষেত্র ও কালীক্ষেত্র উভয়ের মধ্যে প্রভেদ কিছু নাই। এখানে মরণ মাত্রে কীট পৰ্য্যন্ত মুক্তিলাভ করে। মন্থয্যের ত কথাই নাই। এই স্থানে જેનરિક অবস্থান করেন। এরূপ জনপ্রবাদ—যে কালীঘাটের দেবী মন্দিরে, আজও সেই সতী-অঙ্গ

  • অনেকে অনুমান করেন—এই বহুলাই আধুনিক বেহালা । বেহালা হইতে বর্তমান গলীঘাটের দূরত্ব দেড় ক্রোশের মধ্যে। কিন্তু "কালীক্ষেত্র-দীপিকা” রচয়িত, এই বৃহলাকে কালীঘাটের দক্ষিণবৰ্ত্তী রাজপুরের কিছু দক্ষিণ পূর্ব আকন। গ্রামের সন্নিকটস্থান বোলপুর বলিয়৷ উল্লেখ করিয়াছেন । ইহা সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় মা !