পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ીઝ কলিকাতা সেকালের ও একালের পঠাইলেন । কিন্তু রামচন্দ্র প্রতাপের সকল সতর্কত এবং চেষ্টাকে অতিক্রম করিয়া নিরাপদে স্বরাজ্যে ফিরিয়া গেলেন । 蠍 প্রতাপ, বসন্তরায়কেই এই গৃহ-বিবাদের মূল কারণ বলিয়া বিবেচনা করিলেন। র্তাহার মনে একটা ধারণ জন্মিল, যে বসন্তুরায় তাহার ঐশ্বৰ্য্য ও পরাক্রম দৃষ্ঠে, জ্ঞাতিত্ব-নিবন্ধন তাহার উচ্ছেদ-কামনা করিতেছেন। আবার এ দিকে বসন্তরায়ের মনের ভাবও এইরূপ বিদ্বেষমূলক । বস্ত্রমধ্যে লুক্কায়িত অনলকণা নির্বাপিত না করিলে, যেমন তাহা শক্তিসঞ্চয় করিয়া সহসা জলিয়া উঠে, প্রতাপ ও বসন্তরায়ের মনোমধ্যে পোষিত বিরুদ্ধভাব, সেইরূপ একদিন মহা-অনর্থ উৎপাদন করিল। বসন্তরায়ের বাৎসরিক পিতৃশ্ৰাদ্ধের দিন উপস্থিত হইল । বসন্তরায় প্রতাপকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন । প্রতাপও খুল্ল তাতের আমন্ত্রণ অগ্রাহ করিতে পারিলেন না । কয়েকজন বিশ্বস্ত বন্ধু সহ, তিনি বসন্তরায়ের গৃহে উপস্থিত হুইলেন । বসন্তরায়ের পুত্র, গোবিন্দরায়, জ্যেষ্ঠকে আসিতে দেখিয়া, পিতাকে সংবাদ দিতে গেলেন । বসস্তুরায় সেই সময়ে সন্ধ্যাবন্দনার আয়োজন করিতেছিলেন। নিয়তি-চালিত ঘটনাবশে, বসন্তরায় একজন পরিচারককে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“গঙ্গাজল লইয়া আইস।” 續 প্রতাপের কর্ণে “গঙ্গাজল” শব অতি ভীষণভাবে প্রতিধ্বনিত হইল । "গঙ্গাজল” বসন্তরায়ের প্রিয় অস্ত্র । “পিতৃব্য অসি অনিয়ন করিতে আদেশ করিতেছেন—হয়তঃ আমাকে হত্যা করিবার জন্যই এই নিমন্ত্ৰণ”—এই ভাবিয়া হৃদয়ের উত্তেজনা বশে, উন্মুক্ত অসি হস্তে, প্রতাপ সহসা বসন্তরায়ের সন্মুখীন হইলেন। " . . এদিকে বসন্তরায়ের পুত্র, গোবিন্দরায়, প্রতাপকে অসি উন্মোচন করিতে দেখিয়া, পিতার অনিষ্টাশঙ্কায়—প্ৰতাপকে লক্ষ্য করিয়া অস্ত্রত্যাগ করিলেন। সে অস্ত্র প্রতাপের গায়ে লাগিল না। প্রতাপ ইহাতে মহাযুদ্ধ হইয়া, গোবিন্দ রায়কে ভীমবেগে আক্রমণ করতঃ নিহত করেন । , সহসা সেই শান্তিময় রাজপুরীতে শোণিত-ক্রীড়া আরম্ভ হইল। উভয় পক্ষের লোকজনই অস্ত্রশস্ত্র লইয়। মহা হল্প উপস্থিত করিল। প্রতাপ দ্রুত পদে পুনরায় বসন্তরায়ের কক্ষে প্রবেশ করিলেন । বসন্তরায় চীৎকার করিয়া বলিলেন—“শীঘ্ৰ গঙ্গাজল অস্ত্র লইয়া জুইস।” তৃত্যুবর্ণ র্তাহার আদেশ পালনের পূৰ্ব্বেই, অসংযত-ক্রোধ প্রতাপ, সাংঘাতিক প্রহারে, পিতৃব্যের মুক্ত