পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,ঞ্চম অধ্যায় । ১৬৫ উপকুলতীরস্থ, সমুদ্রমুখী জমীর একাংশে দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইল। চন্দ্রগিরির রাজার নাম শ্রীরঙ্গ। জর্মী ইজারা দেওয়ার সময়–অষ্টান্ত স্বত্বের মধ্যে এই স্বত্ব রছিল, যে এই নবনিৰ্ম্মিত বন্দরটার নাম, তাহার নামানুসারে "শ্রীরঙ্গরাজ পত্তনম্‌’ নাম হুইবে । রাজা একখণ্ড স্বর্ণপত্রে খোদিত করিয়া, ইংরাজদিগকে গ্রীর পাট্ট প্রদান করিলেন। ১৭৪৬ খৃঃ অদ পর্য্যন্ত ইংরাজেরা তাহীদের ভাগ্যলক্ষ্মীস্বরূপ,এই সোণার দানপত্ৰখানি সযত্নে রাপিয়াছিলেন। উক্ত বৎসরে ফরাসীদিগের সহিত যুদ্ধকালে, দানপত্র খানি লুষ্ঠিত হয়, কিম্বা হারাইয়া যায়। ইহার পর, এইস্থান চিঙ্গুলপুরের নায়ক রাজার অধীনে আসে। নায়ক রাজা, ইংরাজদিগকে এই স্থানের “চিলাপত্তন” নামকরণ করিতে আদেশ করেন । এই চিনাপত্তনই বৰ্ত্তমান মান্দাজ-নগরী । এখনও পর্য্যন্ত মাদ্রাজের দেশীয় অধিবাসীরা, ইহাকে “চিনাপত্তনই" বলিয়া থাকে। ১৬৩৯ খৃঃ অদ, ইংরাজদের পক্ষে একটা স্মরণীয় বৎসর। এই বৎসরই ভারতবর্ষে র্তাহাদের প্রথম দুর্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৬৫৩ খৃঃ অব্দে, মান্দ্রাজে এজেণ্টের পরিবর্তে, একজন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৬৭০ খৃঃ অদ পর্য্যস্ত মান্দ্রাজের আর কোন বিশেষ বিবরণ পাওয়া যায় না। ১৬৭২ খৃঃ অব্দে ইংরাজের মান্দ্ৰাজ-ফ্যাক্টর একটা বিশেষ গণনীয় বাণিজ্যস্থান হইয় উঠে। স্বরাটের মত, মন্দ্রিাজের ফ্যাক্টারিও ঐশ্বৰ্য্যপুর্ণ অবস্থায় উপনীত হয় । মান্দ্রাজের বাণিজ্য-কাৰ্য্যালয়ে, এই সময়ে একজন গব4র ও তাহার তিনজন সহকারী নিযুক্ত হন। এতদ্ব্যতীত রাইটার প্রভৃতি আরও অনেক কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হইয়াছিলেন । এই সমস্ত কৰ্ম্মচারিরা, সকলেই কোম্পানীর খরচায় বাসস্থান ও আহাৰ্য্যাদি পাইতেন। মন্দ্রিাজের ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কুঠার, প্রথম গবর্ণর স্যর উইলিয়ম বাংহরণ। ইনি ১৬৭০ খৃঃ অন্ধ হইতে, সাত বৎসর কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। ইঠার পরে খ্রিন্থসাম্মাষ্টারস নামক এক বাকি, মাদাঞ্জের গবর্ণর পদে বরিত হন। তাহার পর ১৬৮৩ খৃষ্টাব্দে, আমরা মিঃ উইলিয়াম গিফোর্ডকে গবর্ণররূপে দেখিতে পাই । উল্লিখিত ঘটনাবলী হইতে প্রমাণ হইতেছে, ইংরাজ কোম্পানীর অভু্যদয়ের দিন, ক্রমাগতঃ ধীরগতিতে উন্নতির শিখরে উঠিতেছিল। স্বরাট ও মাদ্রাজে পটুগীজ আধিপত্য ক্রমশঃ কমিয়া আসিতেছিল। পূৰ্ব্বে দুই একটী , সামান্ত বাণিজ্য-স্ব স্ব লাভের জন্ত, মোগল-দরবারে ইংরাজকে অনেক কষ্ট সহ করিতে \ಘ অর্থব্যয় করিতে হইয়াছিল।