পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b-b" কলিকাতা সেকালের ও একালের । কাশেমখণ—বাঙ্গলায় আসিয়া, ক্রুদ্ধ শনির স্থায়, পটুগীজদের ছিদ্রান্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন। দেখিতে দেখিতে, দুইটী বৎসর কাটিয়া গেল। পরিশেষে তাহার উদ্দেশ্য সিদ্ধি হইল। কাশেমখ"— সম্রাট সরকারে যে এতেল পাঠাইলেন—তাহার সার মৰ্ম্ম এই--(১) পটুগীজেরা বলপূৰ্ব্বক ও তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সম্রাটের প্রজাগণকে খষ্টানধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছে। (২) সম্রাটের অনুমতি ব্যতীত, দুই এক স্থলে দুর্গনিৰ্ম্মাণও করিয়াছে। (৩) তাহদের বাণিজ্যালয়ের বা ফ্যাক্টরীর নিকট দিয়া, যে সমস্ত বাণিজ্য-নৌকা যাতায়াত করে, তাহীদের নিকট হইতে বলপ্রয়োগে শুদ্ধ আদায় করিতেছে । (৪) বাদসাহের প্রধান বাণিজ্য-বন্দর সপ্তগ্রামের সম্পূর্ণ অনিষ্টসাধন করিয়াছে। সম্রাট সরকারে এই এতেল পৌছিবfমাত্রই, ঘৃতসিক্ত বস্ত্রে অগ্নি-সংযোগ হইলে যে ব্যাপার ঘটে, তাত ই হইল । সম্রাট তখনই আদেশ দিলেন— “পটুগীজদিগকে বাঙ্গাল হইতে একবারে বিতাড়িত করিয়া দাও । তাহীদের সমূলে উচ্ছেদ কর।” বাদসাহ যত সহজে এই আদেশ প্রদান করিলেন, পটুগীজদিগকে সমূলে বিতাড়িত করা তত সহজ বলিরা বোধ হইল না। কারণ পটুগীজদিগের হুগলী-দুর্গ, কণমানদ্বার সুন্দরন্ধপে সুরক্ষিত । * তাহার। শিক্ষিত সেনাসহণয়ে এই সুরক্ষিত স্থানের মধ্যে থাকিয়া, মোগলসৈন্সকে যে যথেষ্ট বাধা দিতে পরিবে, তাহাও খুব সম্ভব। এইজন্য সুচতুর কাশেমখণ, ধীরে ধীরে পটুগীজ-ধ্বংশরূপ মহাযজ্ঞের আয়োজন করিতে লাগিলেন । কাশেমখা, তাহার পুত্র এনায়েতউল্লা এবং আল্লাইয়ারখ নামক একজন সেনানীকে হুগলী—আক্রমণের জন্য প্রেরণ করিলেন । এমায়েৎর্থ। একজন সুদক্ষ সেনানী-পিতার উপযুক্ত পুত্র । অন্তদিক হইতে খাজা সেরও হুগলির পথ রিলেন। এতদ্ব্যতীত মাসুম থা (ইশাখণর বংশধর ), বাহাদুর কুন্থ প্রভৃতি সেনাপতিগণও এই যুদ্ধে যোগদান করেন। এই সময়ে ডি, মিগনেল ডি নোরোনহ পৰ্টুগীজ অধিকার সমূহের সর্বময় কৰ্ত্ত ছিলেন। এ যুদ্ধ

  • William Bruton Quarter Master of the Hopewell, East Indiaman, who wrote an account of his party, describes Hoogly (in 1632) as "an island made by the Ganges, having several thousanid Portuguese Christians in it. Á writer in Stewart's Descriptive Catalogue represcnto Hoogly as “protected in one side by the river and, on the other thret by a deep ditch which was fillect by water.”