পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ২১৫ ইরাজেরাববেেলশ্বর, পাটনা, কাশিমবাজার, হুগলী প্রভৃতি বাণিজ্য-কেন্দ্র হইতে, তাহীদের মাল-পত্ৰাদি স্বচ্ছন্দে আমদানী রপ্তানী করিতে পরিবেন। বাছাতে এ বিষয়ে কোনরূপ প্রতিবন্ধক উপস্থিত না হয়, স্থানীয় মোগলশাসনকৰ্ত্তারা, সে দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি রাখিবেন। যাহাতে তন্তুবায়গণ, নওদাগরগণ বা ব্যবসায়ীগণ, ইংরাজ কোম্পানীকে ঠকাইতে না পারে, তদ্বিষয়েও সৰ্ব্ব বিভাগের শাসনকৰ্ত্তাদের দৃষ্টি থাকা উচিত। দিনেমারের কাহাতে বঙ্গের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য করিতে না পারে, তাহার সম্বন্ধে জমি ইতিপূৰ্ব্বে এক আদেশ প্রচার করিয়াছি। অপরস্তু ইংরাজগণ যাহাতে এ দেশে অবাধে বাণিজ্য করিতে পারেন, স্থানীয় শাসনকর্তাগণ, তাহার মুবাবস্থা করিবেন। ভবিষ্যতে যেন এ বিষয়ে ইংরাজদিগের নিকট হইতে আমাকে কোন প্রকার অভিযোগ না শুনিতে হয় ।” এইরূপ সুবন্দোবস্তাদি হইলেও, বাঙ্গলার নানাস্থানের ফ্যাক্টারিগুলির কাজকৰ্ম্ম উত্তমরূপে চলিতে ছিল না । কোম্পানীর বিলাতের কর্তাদের আদেশ ছিল, যে মান্দ্রাজের (ফোট সেন্টজর্জ) ফ্যাক্টরীর প্রধান-কৰ্ত্তা বা গবর্ণরকে, অধীনস্থ ফ্যাক্টরিগুলি প্রধান বলিয়া মান্য করিবেন । কোম্পানীর বঙ্গীয় বাণিজ্য-কেন্দ্রসমূহ, মান্দ্রাজের কর্তাদের হুকুমানুসারে পরিচালিত হইবে। কিন্তু হুগলী, বালেশ্বর প্রভৃতি স্থানের ফ্যাক্টারেরা, এ সব কথা প্রায়ই কাণে তুলিতেন না। র্তাহারা কেবল আত্মবিবাদ, বৃথা তর্কে প্রমত্ত হইয়া, কোম্পানীর লাভালাভের অনিষ্ট করিতেছিলেন । ইহা দেখিয়া বিলাতের-কৰ্ত্তারা মনে মনে ভাবিলেন, বিলাত হইতে একজন শক্ত লোক না পাঠাইলে ভারতীয় বাণিজ্যাগার সমূহের উন্নতি ও সুশৃঙ্খলার ব্যবস্থা অতি স্বদূর-পরাহত। এইজন্য তাহারা বিলাত হইতে খ্ৰীনশ্যাম মাষ্টার বলিয়া এক সুদক্ষ ইংরাজকে মাস্ত্রাজের কুঠী সমূহের সর্বময় কর্তা করিয়া পাঠান। ছয় বৎসর পূৰ্ব্বে ইনি ইংরাজের মুরাট ফ্যাক্টারীর গবর্ণর রূপে, যথেষ্ট যশ: সঞ্চয় করিয়া বিলাতে ফিরিয়া গিয়াছিলেন । মাষ্টারকে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ডাইরেক্টারগণ বিশদরূপে বুঝাইয়া দিলেন--"বঙ্গদেশের ও উড়িষ্যার কুঠীর কৰ্ম্মচারিগণ, অতিশয় যথেচ্ছাচারী হইয়া উঠিয়াছে। তাহদের মধ্যে অনেকে আমাদের বেতনভোগী কৰ্ম্মচারী ইয়াও বিশ্বাসঘাতকতা পূর্বক রেশমের গুপ্ত-বাণিজ্যে লিপ্ত হওয়ায়, আমলের যথেষ্ট অর্থ ক্ষতি হইতেছে। আপনি বঙ্গদেশে ও উপকূলবর্তী স্থানসমূহে এই গুপ্ত-বাণিজ্যের মুলোচ্ছেদ করিবেন । বিলাত হইতে আমরা যে সমস্ত মাল,