পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । ২৭৫ কতই নাই। বঙ্গদেশে জব চাকি কর্তৃক, হিজলী অধিকার, মুতালুটাতে আগমন ইত্যাদি সমস্ত ব্যাপারই তখন তিনি জানিতে পারিয়াছিলেন। কুদ্ধ হইয়া ইংরাজদিগকে এদেশের সর্বস্থান হইতে তাড়াইয়া দিবারও সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন দেখিলেন, ইংরাজদের ন্যায় সমৃদ্ধি সম্পন্ন ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করিলে, তাহার রাজকোষের সমূহ ক্ষতি হুইবে, তখন অগত্য চাইল্ডের প্রস্তাবিত বিষয়টা সম্বন্ধে, একটু বেশী মনেযোগ দিলেন। স্থিরভাবে সকল দিক বিবেচনার পর, সম্রাট ইংরাজদের কৃতাপরাধ মার্জনা করিলেন। ১৬৯০ খৃঃ অব্দের ২৭এ ফেব্রুয়ারি, তিনি ইংরাজদিগকে আবার একটা নূতন ফারমান প্রদান করিলেন। এই ফারমানে লিখিত ছিল—“ইংরাজের ইতিপূৰ্ব্বে যে সমস্ত গৰ্হিত কার্য আমার সাম্রাজ্য মধ্যে করিয়াছেন, তাহ মার্জনার জন্য বিনীত ভাবে আবেদন করায়, আমি তাহীদের মার্জনা করিলাম। এ ব্যাপারে মোগল সম্রাটের দখলীভূত লুষ্ঠিত দ্রব্যাদির মূল্য স্বরূপ, ইংরাজের দেড় লক্ষ টাকা দণ্ড স্বরূপ দিবেন। এই করারে আমি তাহাঁদের নূতন স্বত্বে বাণিজ্য কার্য্যে অনুমতি দিলাম। আর আমার আদেশ এই চাইল্ড সাহেব আর এদেশে থাকিতে পরিবেন না। থাকিলে তাহাকে তাড়াইয়। দেওয়া হইবে।”* উল্লিখিত সাধারণ আদেশের একখণ্ড, বাঙ্গালার শাসন-কৰ্ত্তা নবাব ইব্রাহিম খার নিকট প্রেরিত হইল। সায়েস্তা-খার পর, বাহাদুর খ৷ বাঙ্গালার নবাব হইয়াছিলেন। বাহাদুর র্থার পর, ইব্রাহিম খাঁ পুনরায় বঙ্গদেশে আসেন। এই ইব্রাহিম খাঁ অতি শান্তিপ্রিয়, সরল-হৃদয়, শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। তিনি সম্রাটের আদেশপত্র পাইয়া, চাণককে মাজাজ হইতে বঙ্গে আগমন করিবার অমুমতি প্রদান করিলেন । চার্ণক ইব্রাহিম খণকে ভালরূপই জানিতেন। থ৭ সাহেব, কাশ্মীর, লাহোর, বিহার প্রভৃতি দেশ শাসন করিয়া আসিয়াছেন। তিনি একান্ত শান্তিপ্রিয়, ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির একান্ত পক্ষপাতী। কিন্তু তাহার অধীনস্থ কৰ্ম্মচারীগণ সেরূপ নহে। ইব্রাহিম খণর আহবান-পত্রের উত্তরে, চার্ণক এইভাবে উত্তর দিলেন—“আপনার মহৎ চরিত্রের উপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস আছে। কিন্তু সম্রাটের যে আদেশ-পত্র বাহির "-- সম্রাটের এ আদেশ সুরাটে পৌছিবার পূৰ্ব্বেই চাইল্ড সাহেব বোম্বায়ে দেহত্যাগ *::Fi Stewart's Bengal (App, vii) Bruce's Annals. II. 639-649.