পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ను 'কলিকাতা সেকালের ও একালের । স্থানে মাশুল আদায় হয়, তাহাকে “ব্যাঙ্কশাল" বলে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ওলন্দাজের মোগল সরকারের সহিত বন্দোবস্ত করিয়া, ভাগিরথীর কিদংশ কাটাইয় প্রশস্ত করিয়া দেন। যে সকল নৌকা জাহাজ বা ভড় এই “কাটা-গঙ্গার” উপর দিয়া যাইত,- এই “ব্যাঙ্কশালে", বা নদীতীরবন্ত্রী কুতঘাটায়, তাহীদের নিকট হইতে মাশুল আদায় করা হইত। এই বাকশাল বা কৃতঘাটার মালিক ছিলেন—হলাণ্ডাস বা ওলন্দাজগণ। তাহারা ভাগিরথী নদীর উভয় দিকে থাকিয়া, অন্য জাতীয় বণিকদের নিকট কর আদায় করিতেন । ইহা দ্বারা আরও প্রতীয়মান হইতেছে, নিশ্চয়ই তৎকালীন মোগল শাসনকৰ্ত্তার অনুমতি মতে, বা তাহদের প্রদত্ত্ব কোন সনদের সহায়তায়, তাহারা এরূপ নদী-কর আদায় করিতেন—অথবা এই কর আদায়ের চুক্তি অনুসারেই, তাহারা “কাট-গঙ্গা” কাটাইয়া দেন। শেঠবসাক, দিনেমার, আৰ্ম্মানী, ইংরাজ, পটুগীজ ও ডচ ব্যতীত - এই সময়ে কলিকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতালুটার জঙ্গল কাটাইয়া, আরও অনেকে বসবাস করিতে আরম্ভ করেন। ইহাদের মধ্যে কালীঘাটের হালদার মহাশয়গণের নামোল্লেখ করা যাইতে পারে। ষোড়শ শতাব্দীতে, ভবানীদাস, কালীর সেবায়েত ভূবনেশ্বর চক্ৰবৰ্ত্তীর কন্যাকে দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করেন। যাদবেন্দ্র, ভবানীদাসের প্রথম পক্ষের সস্তান । ভুবনেশ্বরের কন্যার গর্ভে রাঘবেঙ্গ বলিয়া আর এক সস্তান জন্মে। রাধবেন্দ্র ভূব- , নেশ্বরের মৃত্যুর পর, কালীর সেবায়েত নিযুক্ত হন। তাহার বংশধরদের অনেকে গোবিন্দপুরে উঠিয়া আসেন। ভবিষ্যতে—যখন এই গোবিন্দপুরে বর্তমান ফোর্ট-উইলিয়াম দুর্গ নিৰ্ম্মাণের জন্য, অধিবাসীদের উঠাইয়া দেওয়া হয়—সেই সময়ে যাদবেন্দ্রের অধস্তন পুরুষেরা কালীঘাটে চলিয়া যান। ইহার পর, যখন পুরাতন ও নূতন ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীদ্বয় একত্রে মিলিত হইয়া যায় ( ১৭৭৬ খৃ: ) সেই সময়ে কুতন কোম্পানীর দল, হুগলী ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় চলিয়া আসেন। উভয় কোম্পানীর সমীকরণের পর, কলিকাতার উন্নতি ক্রমশঃ হইতে থাকে। এই সময়ে অনেক লোক কলিকাতায় আসিয়া পাকা বসত-বাটা নিৰ্ম্মাণ করেন। এই সময়ে কলিকাতা ও তন্নিকটবর্তী স্থান সমূহে, দশ রার হাজার লোকের বসবাস ছিল - এতজ্জন্ত কোম্পানী বাহাদুরের কিছু আয় বৃদ্ধি হয়। * *

  • It may contain in all about to to 12 ooo souls and the Comp" revenue are pretty good and well paid. They risé from ground rent and