পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ আধ্যায় । ৪১৭ প্রদান করিতে পারিতেন না, এই দোর্দণ্ড-প্রতাপ রেজা খায় আদেশে তাহার কারাগারে আবদ্ধ হইয়। এই “বৈকুণ্ঠে” নিক্ষিপ্ত হইতেন ! কখনও বা উহাদের চিলা-ইজারের মধ্যে মার্জার প্রবেশ করাইয়া দেওয়া হইত।” বঙ্গীয় জমীদারদের উপর যে এই সমস্ত অত্যাচার করা इईंड-इशत्र বর্ণনা মুসলমান ইতিহাস লেখকদিগের লিখিত বৃত্তান্ত হইতেই কিছু বেশী পাওয়া যায়। নাজির আহম্মদ ও সৈয়দ রেজা খার অত্যাচারের কথা, তারিখ-বাঙ্গল, রিয়াজিস-সালাতিনে উল্লিখিত আছে। পরবর্তী কালে গ্রন্ট ও ইয়ার্ট ইহার বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। আবার মুরশীদকুলী খা যেরূপ ধাৰ্ম্মিক চরিত্রের নবাব ছিলেন–র্তাহার আমলে যে এরূপ ধৰ্ম্ম-নীতি ও সদাচার-বিগর্হিত অত্যাচারের অনুষ্ঠান হইত, তাহা বিশ্বাস করিতেও পারা যায় না। অথচ তাহার আমলের “বৈকুণ্ঠ” ঘটিত কথাটা যে একেবারে মিথ্যা, তাহাই বা কি করিয়া বলা যায়। একটা কোন কিছু ভিত্তি না থাকিলে; যে এ সম্বন্ধে একটা ষোল-আন। আজগুবী জনরব উঠিল, আর মুসলমান ঐতিহাসিকের হিন্দুদের ছোট করিবার জন্যই হউক বা মুরশীদকুলীর দোর্দণ্ড-প্রতাপ দেথাইবার জন্যই হউক, এরূপ একটা অসম্ভব প্রবাদের স্বষ্টি করিলেন, তাহাও ঠিক কথা নয়। মুরশীদকুলী খাঁ। এই সব ব্যাপারে বেশী অত্যাচারী না হইলেও, তাহার কৰ্ম্মচার্যদয় নাজির আহম্মদ ও রেজা খাঁ যে জমাদার-পীড়নের জন্য এরূপ একটা ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহাও অসম্ভব নহে। ঐতিহাসিক নিখিল বাবু বলেন—“রেজা থণ কর্তৃক জমীদারদের ভয় প্রদর্শনের জন্যও বৈকুণ্ঠের স্বষ্টি হইতে পারে। কিন্তু জমীদারগণ বাস্তবিকই যে বৈকুণ্ঠ-বাস করিতে বাধ্য হইতেন, এ বিষয়ে সন্দেহ আছে। রেজা খাঁ ১৭১৭ খৃঃ অশ্বের পর, বাঙ্গলার নায়েব-দেওয়ান নিযুক্ত হইয়াছিলেন । উক্ত অব্দে এক্রাম খাকে কাৰ্য্য করিতে দেখা যায়। তাহার অল্পকাল পরেই রেজা খার মৃত্যু হইলে, আসাদউল্লা সরফরাজ খাঁ নায়েব-দেওয়ানী প্রাপ্ত হন। সুতরাং এই বৈকুণ্ঠের অস্তিত্ব যে বহুদিন ছিল না, ইহাও ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে। মুসলমান ঐতিহাসিকগণের জমাদার-পীড়নের বিবরণ অতিরঞ্জিত হইত্তেও জমাদারী বন্দোবস্তে মুরশীদকুলী খাঁ যে কঠোরতা প্রকাশ করিতেন, ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই '. এই বৈকুণ্ঠ সম্বন্ধে মুর্শিদাবাদ প্রদেশে এখনও একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। কেহ কেহ মুরুলদাবাদ নগরে তাহার স্থান নির্দেশের চেষ্টা করিয়া থাকেন "A উক্ত ( :