পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ অধ্যায়। &ు “আমার মতে ফিরিঙ্গি শব্দের অর্থ এই—কলিকাতা সহরে যে সমস্ত পটুগীজ-পৃষ্ঠান বাস করে, তাহারাই ফিরিঙ্গি। পটুগালের খাটি পটুগীজদিগের সহিত ইহাদের কোন সম্বন্ধই নাই। এই সমস্ত খ্ৰীষ্টান-পটুগীজদের অধিকাংশের শরীরে, হিন্দু ও মুসলমানের রক্ত আছে। ইহার ধরিতে গেলে, এই রাজ্যের আইনানুসারে মোগলের-প্রজা। একজন ইংরাজ शतःि মুসলমান হয়, তাহা হইলে ইংলণ্ডাধিপের সহিত তাহার রাজা-প্রজা সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়। এইজন্য রয়াল-চার্টারে, ইহার হিন্দু ও মুসলমান বলিয়া উল্লিখিত হয় নাই—“নেটিভ” বলিয়াই হইয়াছে। ( con. June 15. (1755) সাহেবী-পল্লীতে বাড়ীর দর। “হলওয়েল সাহেব, কৌন্সিলের নিকট প্রস্তাব করিয়া পঠাইয়াছেন— ইউরোপীয়ানগণ যে বাটাতে বাস করেন, সেই বাটার বিক্রেয়-মূল্যের উপর, শতকরা পাঁচ টাকা হিসাবে ডিউটী আদায় করা হউক। কারণ এই বাড়ী গুলি দ্বিতল ও দশ হইতে ১২ হাজার টাকা দরেও বিক্রয় হইতে দেখা গিয়াছে। আদেশ হইল, হলওয়েল সাহেবের প্রস্তাবমত কাৰ্য্য আরম্ভ হউক।” পাঠক উল্লিখিত উদ্ধতাংশ হইতে দেখিতে পাইতেছেন-ৰে সাহেবী-কোয়ার্টারে (White Town ) এর বাড়ীগুলি সেই পুরাকালে দশ বার হাজার টাকাতেও বিক্রয় হইত। পাঠক যেন মনে রাখেন আমরা পলাশী যুদ্ধের তিন বৎসর পূর্কের কথা বলিতেছি। ( cons. Dated July 26–1753) - ফোঁতের সম্পত্তি । নিম্নলিখিত উদ্ধতাংশ হইতে প্রমাণ হয়, নবাব আলিবর্দি-খার আমলেও উত্তরাধিকারী হীন ফৌত বা মৃতদিগের সম্পত্তি নবাব-সরকারে বাজেয়াপ্ত হইত। ১৭৫৫খুঃ অব্দের ৪ সেপ্টেম্বরের কন্‌সলটেসানে প্রকাশ—“নবাৰ আলিবর্দি খাঁ, এই কলিকাতার অধিবাসী লক্ষ্মী, রাধানাথ ও গোষ্ঠরামের পরিত্যক্ত সম্পত্তির উপর দাবি করিতেছেন। ইহঁরা কলিকাতার দেশীয় ব্যবসায়ী ও নিঃসন্তান এবং অন্য প্রকার উক্তাধিকারী বিহীন । এইজঙ্গ এই সমস্ত ফোঁতের সম্পত্তি, নবাব সরকারে বাজেয়াপ্ত হইবে । কিন্তু এই সকল ব্যবসায়ীদের সকলেই কোম্পানীর নিকট হইতে টাকা ধার করিয়াছে'। এজন্য এ বিষয়ে বিবেচনা করিয়া নবাবকে পত্র লেখা প্রয়োজন।” . .