পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায় } VoS)& স্থাপিত হইল। এই সুপ্রীমকোর্টের জন্য একজন চিফ-জষ্টিস ও তিনজন “পিউনী” বা সহকারী জজ নিযুক্ত হইলেন। হেষ্টিংস এ দেশে থাকিয়া, এই সমস্ত পরিবর্তনের সংবাদ পাইলেন । উপহার সহকারী ও মন্ত্রণাসভার সভ্যগণের মধ্যে বারওয়েল সাহেবই এ দেশে ছিলেন । অপর তিনজন অর্থাৎ সার ফিলিপ ফ্রান্সিস, জেনারেল জন ক্লেভারিং ও কর্ণেল জর্জ মনসন, বিলাত হইতে আসেন । অপর একখানি জাহাজে সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি, স্যর ইলাইজ। ইম্পি ভারতে যাত্রা করেন। কৌন্সিলের সদস্য ও জজেরা ১৭৭৪ খৃঃ অব্দের অক্টোবর মাসে কলিকাতায় উপস্থিত হন। যাহা অাজ কাল “চাদপাল-ঘাট” বলিয়া পরিচিত, তাহার। সেই ঘাটেই অবতরণ করেন। তাহদের সন্মানার্থে ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ প্রাকার হইতে তোপধ্বনি হয় । এই তোপধ্বনির সংখ্যা কম হইয়াছিল বলিয়া, ফ্রান্সিস-প্রমুখ সদস্যগণ অপমানিত বোধ করেন ও র্তাহীদের মনে একটা অভিমান জন্মে। তাহারা মনে মনে ভাবিলেন—“তবে কি আমরা গবর্ণর-জেনারেল ওয়ারেণ হেষ্টিংসের অপেক্ষা পদ-গৌরবে ছোট ! তিনি র্তাহার সম্মান স্বরূপ ষে তোপধ্বনি পান, আমাদের তাহ দেওয়া হইল না কেন ?” ধরিতে গেলে—চাদপাল-ঘাটের এই অবতরণ ব্যাপার হইতে, হেষ্টিংস ও তাহার সহযোগীগণের মধ্যে বিষম মনোমালিন্যের সূত্রপাত হয়। এ মনোমালিন্য পরিশেষে কিরূপ ভয়ানক অবস্থায় পরিবৰ্দ্ধিত হইয়াছিল, তাহার বিস্তারিত বিবরণ এস্থলে দেওয়া অসম্ভব। হেষ্টিংসের দলে রহিলেন, কেবলমাত্র বারওয়েল। কৌন্সিলের অপর তিনজন সদস্য, প্রত্যেক কার্য্যেই হেষ্টিংসের বিরুদ্ধাচরণ করিতে লাগিলেন। সৌভাগ্যের মধ্যে, সুপ্রীম-কোর্টের প্রধান জজ স্যর ইলাইজা ইম্পি, হেষ্টিংসের প্রধান সহায় ছিলেন। মহারাজ নন্দকুমার, তখন দেশের মধ্যে একজন গণ্য মান্য লোক । র্তাহার ক্ষমতাও যথেষ্ট । ফ্রান্সিসের সহায়তা পাইয়া, মহারাজ নন্দকুমার হেষ্টিংসের বিরুদ্ধে কৌন্সিলের সমক্ষে, তাহার নামে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ করেন। ব্যাপারটা ক্রমে বড়ই সাংঘাতিক অবস্থায় উপস্থিত হইল। কিন্তু ঘটনাচক্রে, মহারাজার নামে এই সময়ে সুপ্রীম-কোর্টে জাল করার এক মোকদম উপস্থিত হয়। এই মোকদ্দমার প্রধান বিচারক স্তর