পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ অধ্যায়। ৬৭৩ করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু উক্ত খৃষ্টাব্দের এক বিবরণী হইতে দেখা যায়, নগদ পয়সা ও চাউল বিতরণে কুলাইয়া না উঠায়, কর্তৃপক্ষগণ দরিদ্র সাধারণের মধ্যে “খিচুড়ী বা ভাত” বিতরণের ব্যবস্থা করিতেছেন। উক্ত বিবরণীতে প্রকাশ–“প্রেসিডেন্সির মধ্যে দরিদ্রদের সাহায্য জন্য, যে ভাণ্ডার খোলা হইয়াছে, তাহার সদস্যগণ সভা করিয়া স্থির করিয়াছেন যে, অতঃপর চাউল ও পয়সা বিতরণ করা হইবে না। খিদিরপুর, বৈঠকখানা ও বাজিতালাও এই তিনটী স্থানে তিনটী “অল্পক্ষেত্র” প্রস্তুত হইবে। এই স্থানসমূহ হইতে দরিদ্রদিগকে ভাত বা খিচুড়ী বিতরণ করা যাইবে। যাহারা অনাহারে ইতি পূৰ্ব্বে রুগ্ন হইয়া পড়িয়াছে, তাহাদের জন্য, এই ফণ্ডের অর্থ হইতে বৈঠক-থানার বাজারে একটী অস্থায়ী হাসপাতাল করা হইল।” । ( לטו גופו8) ডাকাতির সংবাদ । “আজকাল ডাকাতগণ বড়ই সাহসী ও অত্যাচারী হইয়া পড়িয়াছে। কয়েকজন সিপাহী পঞ্চাশ হাজার টাকা লইয়া বীরভূম হইতে বৰ্দ্ধমানে আসিতেছিল। ডাকাতের দুইজন সিপাহী ও তিনজন পেয়াদাকে হত্যা করিয়া ৩০ হাজার টাকা লুটিয়া লইয়া গিয়াছে।” ( ১৬।১০।১৭৮৮) সুন্দরবন হইতে ঢাকা পৰ্য্যন্ত নদীপথে এই সময়ে ডাকাতের যথেষ্ট প্রাদুর্ভাব ছিল। ডাকাতেরা নৌকা করিয়া দল বাধিয়া নদীবক্ষে ডাকাতি করিত। অনেক ডাকাতি-নৌকায়, কোম্পানী-বাহাদুরের নিশানের অনুরূপ নিশান রাখা হইত। প্রকাষ্ঠ দিবাভাগেও এই দুর্দান্ত ডাকাতগণ যাত্রী ও মালের নৌকা আক্রমণ করিত। কিন্তু সাহেবগণের নিকট বন্দুক, পিস্তল প্রভৃতি থাকায়, ডাকাতের অনেক স্থলে নিরাশ হইয়া প্রস্থান করিত । ( ১৩১১৷১৭৮৮) সুন্দরবন ছাড়া কলিকাতার পার্শ্ববর্তী নদীসমূহেও ডাকাতের ভর ছিল। একজন নায়েক ও ৮ জন সিপাহী-পূর্ণ একখানি নৌকা কলিকাতা হইতে কানা যাইতেছিল। চুর্ণা নদীর উপর ডাকাতেরা এই সিপাহী-নৌকা আক্রমণ করে। ডাকাতদের সঙ্গেও অনেকগুলি নৌকা ছিল। প্রত্যেক নৌকায় ১৬ হইতে ১৮ জন লোক ছিল। ডাকাতেরা সিপাহীদের নৌকায় উঠিয় তাহাদের সর্বস্ব লুঠ করে। অনেক সিপাহীকে তাহারা জথম করিয়া রাথিয়া যায়। প্রস্থানের সময়, তাহার সিপাহীদের বন্দুক ও কিরিচগুণি কড়িয়া লইয়া যায়। Ե (: