পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৭৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ অধ্যায় ৭২৯ ইনি সম্পর্কে ফ্রান্সিসের ভগ্নীপতি বা শ্যালক এইরূপ একটা কিছু হইবেন । কান্সিস, সাহেব হেষ্টিংস ও ইম্পির প্রধান শত্রু । এই ফ্রান্সিসের জন্যই ভবিষ্যতে ইম্পিকে খুব লাঞ্ছিত হইতে হইয়াছিল। ইম্পি, পারসী পড়িতে ও লিখিতে জানিতেন । এটা অবশ্য এদেশে জাসিয়া হইয়াছিল। র্তাহার এক মাতামহ বিলাতে বসিয়া—নাদির সাহের এক জীবনবৃত্ত লিখিয়া গিয়াছেন । ইম্পির বিরুদ্ধে পালর্ণমেণ্টে, যে মোকদম উপস্থিত হয়, তাহার কবল হইতে তিনি অতি সহজেই উদ্ধার পান। কিন্তু হেষ্টিংস, তাহার নিজের মোকদ্দমার জন্য পথের ভিখারি হইয়াছিলেন । কিন্তু তাহা হইলেও শেষ দশাটা, ইম্পির বড়ই কষ্টে কাটিয়াছিল। সঞ্চিতধন সুদে বাড়াইবার জন্য, তিনি বিলাতে গিয়া অনেক টাকার “ফ্রেঞ্চ-বণ্ড” বা নোট কেনেন । তদানীন্তন ফরাসী রাষ্ট্র-বিপ্লবের জন্য, সে সব নোটের দাম খুব কমিয়া যায়। ইম্পি এইরূপে বড়ই হীনাবস্থা হইয় পড়েন ও লণ্ডনের বাটী বিক্রয় করিয়া, সসেক্সে নিউইক পার্ক নামক এক গ্রামে, জীবনের শেষভাগ অতিবাহিত করেন। ১৮৮৯ পূঃ অব্দে ঐ গ্রামেই তাহার মৃত্যু হয়। - হাইকোর্টে এখনও সার ইলাইজ ইম্পির দুইখানি সুবৃহৎ তৈলচিত্র আছে। মেরুপ পরচুলা পরিয়া, লাল-পোষাকে, তিনি সুপ্রীমকোর্টে—নন্দকুমারের ও অন্যান্য মোকদ্দমার বিচার করিতেন সেই মূৰ্ত্তিই, এ চিত্র দুইখানিতে চিত্রিত হইয়াছে। ইহাদের একখানি নন্দকুমারের মোকদ্দামার পর, চিত্রিত হয়। কেটল ইহার চিত্রকর । আর একখানি ছবি, যাহা সুবিখ্যাত চিত্রকর জোফানীর হস্তাঙ্কিত, তাহা ইম্পির ভারত ত্যাগের পর চিত্রিত হইয়াছিল । পাঠক ! ইচ্ছা করিলে হাইকেটে গিয়া, ছবি দুখানি দেখিয়া আসিতে পারেন । স্বপ্রীমকোটের অন্যতম জঞ্জ স্যর রবার্ট চেম্বাস। ইনি নন্দকুমারের বিচারকালে, ইম্পির সহযোগী ছিলেন। ১৭৬১ অবো ইনি এম, এ, পাশ করেন। ১৭৬৫ খৃঃ অব্দে মিডল-টেম্পল হইতে বি, সি, এল উপাধি পান। চেম্বাস একজন আইনজ্ঞ ও সুপণ্ডিত জজ ছিলেন। স্যর উইলিয়ম স্নাকষ্টোন অবসর গ্রহণ করিলে, ইনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিট কলেজের আইনের অধ্যাপক হন। চেম্বাসের সহিত, প্রসিদ্ধ রাসেলাস-প্রণেতা উক্তার জন্সনের সহিত খুব বন্ধুত্ব ছিল। বসওয়েলের লিখিত জন্সন*ীতে বহুবার এই জজ চেম্বাসের নাম উল্লিখিত হইয়াছে। এদেশে ॐ२