পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ન્યૂઝ কলিকাতা সেকালের ও একালের । মছের এই ভদ্রাসনের নবভাবে সংস্কার করিয়া, লক্ষাধিক টাকা বলে ভবিষ্যতে এইস্থানে এক প্রাসাদ-তুল্য অট্টালিকা নিন্মাণ করিয়াছিলেন। তাহার কম্পাউণ্ডের মধ্যে তিন চারিট পুষ্করিণী-খনন করিয়া, তাহা জননীকে দিয়া প্রতিষ্ঠা করাইয়াছিলেন। নবগৃহ প্রবেশের পূৰ্ব্বে, উমেশ্চন্ত্রের জননী, এই বাটতে হিন্দু-শাস্ত্রানুসারে গ্রহষাগ ও ব্রাহ্মণ-ভোজনাদি করান। তাহার কয়েকমাস পরে, সাহেবী-ধরণে এই বাটটি সজ্জিত করিয়া, উমেশ্চন্দ্র বহুদিন এই বাটতে বসবাস করেন। এখন এ প্রাসাদ-তুল্য বাটার চিহ্ন মাত্র নাই। খিদিপুরের-ডকে এই বাট গ্রাস করিয়াছে। ইহার পর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়, পার্কষ্ট্রীটের মধ্যে ৬নং সুবৃহৎ ত্রিতল বাটটি খরিদ করেন। এই বাটতে ১৮৫৯ হইতে ১৮৬২ খ্ৰীঃ অক্স পর্য্যন্ত বঙ্গের ভূতপূৰ্ব্ব লেফটেনাণ্ট গবর্ণর, সার জন পিটার গ্রান্টের আবাসস্থান ছিল। গ্রান্ট সাহেব, এই বাড়ীটিকেই লেফটেনাণ্ট গবর্ণরগণের প্রাসাদে পরিবর্তন করিবার জন্য, ভারতগবর্ণমেণ্টকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন । কিন্তু গবর্ণমেণ্ট ইতিপূৰ্ব্বে “বেলভেডিয়ার-প্রসাদটী” লাট-সাহেবদের বাসের জন্য নিৰ্ব্বাচিত করায়, ছোটলাট গ্রান্টের এ প্রস্তাব পরিত্যক্ত হয় । উমেশ্চন্দ্র যে সময়ে সৰ্ব্ব প্রথমে ব্যারিষ্টারি কার্য্যে প্রবৃত্ত হন— সেই সময়ে হাইকোর্টে আরও দুইজন বাঙ্গালী-ব্যারিষ্টার ছিলেন। ইহাদের একজন বঙ্গের অমর-কবি মাইকেল মধুস্থদন দত্ত ও অপর ব্যক্তি স্বনামখ্যাত স্বদেশ-হিতৈষী মহাপ্রাণ মনোমোহন ঘোষ। মনোমোহন মফঃস্বলের ব্রিফ লইয়াই কিছু ব্যতিব্যস্ত থাকিতেন, আর মাইকেলের ব্যারিষ্টারি ব্যবসায়ে জাদে মনোযোগ ছিল না। থাকিলে আমরা হয়ত মেঘনাদ বধ, তিলোত্তম, ব্রজাঙ্গন প্রভৃতি কাব্যগুলি, বনসাহিত্যের অলঙ্কাররূপে পাইতাম না। ক্রমে ক্ৰমে উমেক্স কলিকাতা হাইকোর্টের অন্ততম উদীয়মান ব্যারিষ্টার হইয়া পড়িলেন। দিনে দিনে তাহার যশ প্রতিভা বিকাশ হইতে লাগিল। এই সময়ে সাহেব-ব্যারিষ্টারগণ দলে পুষ্ট-বাঙ্গালীর মধ্যে এক উমেশ্চন্দ্র। উমেশ্চন্দ্ৰ—শোভাবাজার রাজা কমলকুক বাছাছুরের নিকট এ সময়ে যথেষ্ট সাহায্য পান। এইজন্য উমেশ্চত্র উহার জ্যেষ্ঠ পুরের নাম “কমলকৃষ্ণ সেলী বনার্জি” রাখেন। উমেশ্চন্ত্রের জায় ভবিষ্যতে মাসিক দশ হাজার টাকার উপর খইয়াছিল। বাঙ্গালীর মধ্যে, ইনিং