পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চৰিংশ অধ্যায় । Ե-Ե՛:Ֆ লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার কারণ জানিতে পারিলেন। এই পাঠাগারটাতে বসিয়া, শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রেই বিনামূল্যে পুস্তকাদি পাঠ করিতে পারেন। একখানি ছাড়পত্র থাকিলেই, এই পাঠাগারে প্রবেশলাভ করা যায় । এই ছাড়ের জন্ত, সম্পাদকের নিকট আবেদন করিতে হয় । বিদ্যার্থীগণের জ্ঞানতুষ্ণার নিবৃত্তি ও গবেষণার পথ প্রশস্তকল্পে, এই সাধারণ রাজকীয়-পাঠাগার স্থাপন করিয়া, লৰ্ড কজন একটী অক্ষয়কীৰ্ত্তি রাখিয়া 何羽tび極可4 参 বেলভেডিয়ার রাজপ্রাসাদ । বেলভেডিয়ার, বঙ্গের লেফটেনাণ্ট-গবর্ণরগণের রাজ-প্রাসাদ । ইহা আলিপুরে অবস্থিত । বঙ্গের ভূতপূৰ্ব্ব ছোটলাটগণ, এই বেলভেডিয়ারপ্রাসাদেই বাস করিয়া গিয়াছেন । আলিপুর নামটি কেন হইল, তাহার একটু ইতিহাস, আমরা পূর্বে দিয়াছি । ১৭৬০ খৃঃ অব্দে নবাব মীরজাফর, গবর্ণর ভান্সিটার্ট কর্তৃক রাজ্যচু্যত হন । ইহার পর তিনি মুরশীদাবাদ ত্যাগ করিয়া, কলিকাতায় বসবাস করেন। কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে, বৰ্ত্তমান বেলভেডিয়ারের নিকটবৰ্ত্তী কোন একটী স্থানে, নবাব মীরজাফরের আবাসস্থান ছিল। আবার অন্য মতে, আলিপুরের বর্তমান জজ-কাছারির অধিকৃত স্থানেই, নবাবের আলিপুরের প্রাসাদ ছিল। বাঙ্গালার নবাব মীরজাফর আলির বসবাসের জন্যই, এই স্থান “আলিপুর" বলিয়া প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে । ১৭৬৩ খ, অব্দে মীরজাফর পুনরায় নবাবী-গদিতে উপবেশন করেন । এই সময়ে তিনি কলিকাতা ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান। যাইবার সময়, আলিপুরের অধিকাংশ সম্পত্তি তিনি গবর্ণর ওয়ারেণ-হেষ্টিংসকে দান বা বিক্রয় করিয়া যান। অতীতকালের নানাবিধ ঘটনা হইতে প্রমাণিত হয়, গবর্ণর জেনারেল ওয়ারেণংেক্টিংসের বসবাসের জন্যই, এই আলিপুর সেই সময়ে বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ করে। হেষ্টিংসের জন্যই, কালীঘাটের গঙ্গার উপর প্রথম পুল নিৰ্ম্মিত হয়— অীর “হেষ্টিংস-হাউস” এখনও তাহার কীৰ্ত্তিঘোষণা করিতেছে। . الهبه ১৭৬২ খ্ৰীঃ অবে বেলভেডিয়ারের প্রথম নামোল্লেখ দেখিতে পাওয়া বায়। এই সময়ে গবর্ণর সাহেবের জন্য, একটা বাগান-বাট নিৰ্ম্মাণের প্রস্তাব, বিলাতে কোট-অব-ডিরেক্টারের নিকট গিয়াছিল। বেলভেডিয়ারে মিঃ ফ্রাঙ্কল্যাণ্ডের বাটটি কিনিয়া লইয়া, তাহা গবর্ণর-সাহেবের বাগার 》 ) え