পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। $33వ অৰ পৰ্য্যস্ত, ইনি বড়লাটের কার্য্য করেন। লর্ড লরেন্স, বড়ই প্রজাপ্রিয় পাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। পদোচিত জাকজমুক, তিনি খুব কমই পছনা করিতেন। অনেক সময়ে, পদব্রজে গড়েরমাঠে ও ইডেন-গার্ডেনের নিকটে পদচারণা করিতেন। এ সম্বন্ধে একট রহস্যকর গল্প আমরা শুনিয়াছি। একবার এই বড়লাট-সাহেব লরেন্স, সামান্য বেশে সন্ধ্যার পর বেড়াইতে বাহির হন। তখন নিয়ম ছিল, রাত্রি নয়টার পরে কেহ “গবর্ণমেণ্ট-হাউসে” প্রবেশ করিতে পারিত না । যে সিপাহী, পাহারা দিতে ছিল, সেও লাট-সাহেবকে, ইতিপূৰ্ব্বে চক্ষে দেখে নাই। কাজেই সে র্তাহাকে সামান্ত ইংরাজ-কৰ্ম্মচারী ভাবিয়া, প্রাসাদ-প্রবেশে বাধা উপস্থিত করে। শেষ তাহার সেক্রেটারীদের মধ্যে দুই একজন এই ঘটনাক্ষেত্রে সহসা উপস্থিত হইয়া, সিপাহীকে র্ত্যহার প্রকৃত পরিচয় দিয়া তাহাকে উদ্ধার করেন । বলা বাহুল্য, লর্ড লরেন্স এই সিপাহীর কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠায় সস্তুষ্ট হইয় তাহার পদোন্নতি করিয়া দেন । ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়া । এই লরেন্স-ট্যাচুর অতি সন্নিকটে, বর্তমান রেড-রোডের শেষ প্রাস্তে ময়দানের মধ্যে, ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়ার পিত্তল-প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত। এই মাতৃরূপিনী, দেবীরূপিনী, ভারতের শাসন-কর্তৃত্ব ভার গ্রহণ করার পর হইতে, ভারতবাসী নানাবিষয়ে মুখশাস্তি উপভোগ করিতেছে। তাহার আমলে, অনেক লোভনীয় উচ্চ রাজপদ বঙ্গবাসীর করতলগত হইয়াছে। রেলওয়ে প্রভৃতি দ্বারা বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি ও সৰ্ব্বস্থানে যাতায়াতের পথও সুগম হইয়াছে। তিনি ভারতীয়-প্রজাগণকে বড়ই স্নেহের ও প্রীতির চক্ষে দেখিতেন । র্তাহার জীবনের শেষাবস্থায় তিনি হিন্দুস্থানী-ভাষা পৰ্য্যন্ত শিক্ষা করিয়াছিলেন। তাহার বকিংহ্যাম, ব্যালমোরাল, অসবরণ, উইগুসর প্রভৃতি রাজপ্রাসাদে, ভারতীয় আরদালী বা সিপাহীগণ আজ্ঞা পালনের জন্য নিযুক্ত ছিল। তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র, আমাদের সর্বজনপ্রিয় সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড, জননীর নিকট হইতেই এই ভারত-প্রীতি গুণে অনুপ্রাণিত হন। র্তাহার পৌত্র, আসমুদ্র ভারতের বর্তধান সম্রাট, পঞ্চম জর্জও পিতামহীর সদগুণ সমূহের অধিকারী হইয়াছেন। অনেক সময়ে, তাহার প্রমুখ-নির্গত অভয় বাণীতে, আমরা তাহার ভারতধতির জাভাস পাইয়াছি। এই পিত্তল মূৰ্ত্তির পরিবর্তে ভারতেশ্বরী