পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮২ . কলিকাতা সেকালের ও একালের। রেজা খ ও সিতাব রায়ের বিরুদ্ধে মোকদম ফাসিয় গেলে, হেষ্টিংস মহারাজা নন্দকুমারের হাত হইতে একে একে সমস্ত ক্ষমতা গ্রহণ করিতে আরম্ভ করেন। এই সময়েই তিনি মহারাজ নন্দকুমারের হস্ত হইতে “জাতিমালা", কাছারীর ভার গ্রহণ করিয়া, তাহা মহারাজা নবকৃষ্ণকে প্রদান করেন। এই ব্যাপারে নবকৃষ্ণের সামাজিক প্রতিষ্ঠার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়। নবকৃষ্ণ একে একে সাতটী বিবাহ করেন, কিন্তু তাহাদিগের কাহারও পুত্ৰ সন্তান না হওয়ায়, তিনি জ্যেষ্ঠ সহোদর রামসুন্দরের তৃতীয় পুত্র গোপীমোহন দেবকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করেন। ইহার অল্পকাল পরেই ১৭৮২ খৃঃ অকে, তাহার চতুর্থ পত্নী একটা পুত্র-সন্তান প্রসব করেন। এই পুত্রই ङ्गांखां ब्रांछक्लष* ८भय বাহাদুর। ইহার দুই বৎসর পরে, রাজা গোপীমোহনের পুত্র রাজা স্যর রাধাকান্ত দেবের জন্ম হয়। রাজা রাজকৃষ্ণ দেবের বিবাহকালে, নবকৃষ্ণ বাদসাহের নিকট হইতে মন্দবদারের পদের ব্যবহার্য্য সওয়ারের মধ্যে, চারি হাজার সিপাহী আনাইয়া বরের অম্বুগামী করাইয়া ছিলেন । ইহার কিছুদিন পরে তিনি বহু অর্থ ব্যয়ে রাষ্ট্ৰীয় কায়স্থ সমাজের গোষ্ঠীপতি হন । ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দের ২২ নবেম্বর তারিখে মহারাজ নবকৃষ্ণ দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুর দিবস, অভ্যাসাচুযায়ী বেলা দুই ঘটিকার সময়, তিনি বিশ্রামার্থে শয্যায় শয়ন করেন। পরে সন্ধ্যাকালে তাহাকে মৃতাবস্থায় শয্যার উপর দেখা যায়। মৃত্যুকালে তিনি সাত পত্নী, ভ্রাতুপুত্র গোপীমোহন, পুত্র রাজকৃষ্ণ এবং গোপীমোহনের পুত্ৰ দেখিয়া যান। পুত্র ব্যতীত তাহার চতুর্থ পত্নীর গর্ভে দুইটা কন্স এবং প্রথম পত্নীরও একটী কন্ঠ-সপ্তান হইয়াছিল। মহারাজ নবকৃষ্ণের অনেক সদগুণ ছিল। তিনি ধাৰ্শ্বিক, বিনয়ী, বিদ্যানুরাগী ও পরোপকারী ছিলেন। বিষয়কৰ্ম্মে তাহায় অসাধারণ পারদৰ্শিতা ছিল। তিনি একটা পণ্ডিতসভা করিয়া পণ্ডিতপ্রধান জগন্নাথ ऊर्क श्रृंक्षांनन, ब्रांशांकांख् छर्रुदtनै*, राष्टभश्वब्र , विनाणिकांब्र, अनखब्रांश ৰিস্তাবাগীশ, শ্ৰীকণ্ঠ, কমলাকুস্তি, বলরাম, শঙ্কর, চতুভূজ স্থায়রত্ন প্রভৃতি পণ্ডিতগণকে সৰ্ব্ববিষয়ে উৎসাহ প্রদান করিতেন। হিন্দু-ধর্মের প্রতি প্তাহার একান্ত নিষ্ঠ ছিল। “মহারাজা বাহাদুর" উপাধি লাভের পর, তিনি স্বকীয় বাসভবনে শ্ৰীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার আয়োজন করেন। প্রগোবিন্দ নামক বিগ্রহ প্রস্তুতের পর, তিনি নৰীপাধিপতির অগ্রদ্বীপস্থ গোপীনাথ