পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় । s*ః শিক্ষাধীনে রাজস্ব-সংক্রান্ত কৰ্ম্মে পারদর্শিতা লাভ করিয়া, তাহারই সহকারী বী নায়েব-আমীনপদে কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করেন। ক্রমশঃ তাহার বিষয়কর্শ্বে দক্ষতার কথা নবাবের কর্ণগোচর হয়। - ১৭৪- অকে। সরফরাজ খণর পতনের সহিত, আলিবর্দি খা বাঙ্গলা বিছার ও উড়িষ্যার নবাব হন। এই বিপ্লবের সময়, নন্দকুমারের বয়স ৩৫ বৎসর। বিপ্লব-শাস্তির পর তিনি নবাব কর্তৃক হিজলী ও মহিষাদল পরগণার আমীন নিযুক্ত হন। কিন্তু, ইহা হইতেই, তিনি এক বিষম বিপদে পতিত হন। তৎকালে আমীনগণ আদায়ের সমস্ত টাকল এককালে নবাব সরকারে পাঠাইতেন না । যেমন যখন আদায় হইত, তেমনি ভাবেই টাকা পাঠাইতেন। কয়েকটা অসুবিধার জন্য, সরকারে নন্দকুমারের ৮০ হাজার টাকা, অনাদায়ের দরুণ বাকী পড়ে। আইনানুসারে এ টাকার জন্য তিনিই দায়ী ছিলেন । আবার অন্যদিকে, তাহার তহশীলের পীড়াপীড়িতে, প্রজা ও জমীদারগণ র্তাহার উপর অত্যস্ত বিরক্ত হইয়া, নবাব আলিবর্দির খালসা-দেওয়ান রায় রায়ান চয়েন রায়ের নিকট তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করেন। দেওয়ান ক্রুদ্ধ হইয়া, তাহাকে পদচ্যুত করিয়া মুর্শিদাবাদে আহান করিলেন এবং বাকী টাকার জন্য অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত করিতে লাগিলেন । এই বিপদের সময়, তাহার পিত। তাহার এই ঋণ পরিশোধ করিয়া দেন । ইহার পর নন্দকুমার, নবাব শাহ আমেদজঙ্গের নায়েব, হোসেন কুলী ধার নিকট একটী কৰ্ম্ম প্রার্থনা করেন, কিন্তু খালসা-দেওয়ান বাহাদুরের বিরুদ্ধতায়, তাহার চাকুরী হুইল না। অতঃপর নন্দকুমার উপায়াস্তর না দেখিয়া নানা কৌশলে প্রধান সেনাপতি মূস্তাফ ধার সহিত পরিচিত হইলেন। • * এই সময়ে তাহার অদৃষ্টে আর একটী বিপদের স্বচনা হইতেছিল। সৈন্যদলের ৰেতন বাকী পড়ায়, মুস্তাফা খাঁ কয়েকটা জমীদারী হইতে স্বয়ং টাক আদায় করিয়া লইবার অধিকার প্রাপ্ত হন। ইহাতে পীড়নের আশস্বায় কুমদারগণ এ ব্যবস্থার প্রতিকারের জন্য নন্দকুমারের শরণাপন্ন হন। নন্দকুমার স্বয়ং জামীন হইয়া জমীদারগণকে রক্ষা করিবার বনোবন্ত করিলেন বটে, কিন্তু উক্ত জমীদারগণ যথাসময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করিতে বিশেষ মনোযোগী হইলেন না। মুস্তাফা খা, যথাসময়ে টাকা না পাওয়াতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া নন্দকুমারকে বন্দী করিতে সঙ্কল্প করিলেন। নলকুমার কলিকাতায় পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষা করিলেন। অনন্তর কিছুদিন পরে