পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় । - • సినt জুবাদারের পদোচিত জায়গীর ও জমীদারী তখন পর্য্যস্ত দখল করিতে ছাড়েন । নাই। আর সিতাব রায় ১১৭৩ ( ফসলী) সালের প্রথম হইতে ১১৮১ { ফসলী ) সালের শেষ পর্যান্ত, কমবেশ নব্বই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করিয়াছিলেন। নন্দকুমার এ বিষয়ে প্রমাণ জন্ত, বহু গণ্যমান্ত সাক্ষীও সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । উদ্ধারের উপায়ান্তর না দেখিয়া, মহম্মদ রেজা খা হেষ্টিংসকে দশ লক্ষ ও নন্দকুমারকে দুই লক্ষ এবং সিতাব রায় হেষ্টিংসকে চারি লক্ষ টাকা উৎকোচ দিতে চীশেন, কিন্তু হেষ্টিংস ও নন্দকুমার উভয়েই ইহা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন। ইহার অল্পদিন পরে, নজমৃউদ্দৌলার নাবালক পুত্ৰ মোবারকউদৌল সিংহাসন গ্রহণ করিলে, তাহার অতিভাবক হইবার জন্য তাহার মাতা বহু বেগম ও র্তাহার বিমাতা মণিবেগম উভয়েই আবেদন করিয়াছিলেন। মণিবেগম, নন্দকুমারের মধ্যস্থতায় হেষ্টিংসকে আড়াই লক্ষ টাক। উৎকোচ প্রদান করিতে চাহেন । ইহার পর নন্দকুমার স্বীয় পুত্র গুরুদাসকে নবাবের দেওয়ান নিযুক্ত করিবার প্রার্থনা করিলে, হেষ্টিংস তাহার নিকট হইতেও কিছু নজর চাহেন । নন্দকুমারও লক্ষাধিক টাকা প্রদান করিয়া, মণিবেগম ও গুরুদাসের নিয়োগপত্র সংগ্ৰহ করেন। রাজা গুরুদাসের নিয়োগ-ব্যাপারে, হেষ্টিংস কাউন্সিলের মতামত, উপেক্ষা করিয়া তাহাকে দেওয়ানী পদে নিযুক্ত করেন। 豪 তাহার পর মহম্মদ রেজা খ ও সিতাব রায়ের বিচার চলিতে লাগিল। ইহঁাদিগের বিরুদ্ধে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণাদি বলবৎ থাকা সত্বেও, হেষ্টিংসের দুই বর্ষব্যাপী বিবেচনার ফলে ও বিচারে তাহারা নির্দোষ সাব্যস্ত হইলেন । সিতাব রায় মুক্তিলাভের পর অল্পকাল মাত্রই জীবিত ছিলেন। যাহ। হউক, হেষ্টিংস সাধারণেয় চক্ষে নন্দকুমারকে এইরূপে অপদস্থ করিয়াই ক্ষাস্ত রছিলেন না, পরস্তু ১৭৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে এই মোকদ্দমার বিবরণী বিলাতে পাঠাইবার সময়, তাহাতে তাহাকে শঠ, প্রবঞ্চক, অকৃতজ্ঞ ७थङ्गठि বলিয়া নিন্দ করেন। ইহার পর পূর্ব-প্রতিশ্রুতি মত, মহারাজাকে বঙ্গদেশের আমীনপদে নিযুক্ত করা দূরে থাক, কি অপরাধে তাহাকে এরূপ গালি দেওয়া হইয়াছে, হেষ্টিংস তাহারও উল্লেখ করা আবশ্যক মনে করেন নাই । مي • 會 এই সময়ে বিলাতের প্রধান মন্ত্রী লর্ড নর্থ ভারতের শাসন-কাৰ্য্য সুশৃঙ্খল ভাবে নিয়স্থিত করিবার জন্য রেগুলেটিং-অ্যাক্ট" বিধিবদ্ধ করেন। এই আইন-অনুসারে, হেষ্টিংস বঙ্গদেশের গভর্ণর জেনারেল হইলেন ; এবং তাছার