পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। ፳፭mጫ নন্দকুমারের সর্বনাশের জন্য নানা উপায় অবলম্বন করেন। বর্ধমানের রাজস্ব আদায় লইয়া রেসিডেন্ট মিঃ গ্রেহামের সহিত নন্দকুমারের পূর্ব হইতেই মনান্তর ছিল। বোলাকিদাস শেঠ নামক একজন আগরওয়ালা মণিকারের মৃত্যুর পর, হিসাবাদি লইয়। তাহার আমমোক্তার মোহনপ্রসাদের সহিত নন্দকুমারের বিবাদ হইয়াছিল r আর নন্দকুমারের আপন জামাত কুঞ্জঘাটা-রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, জগচ্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যার শ্বশুরের সহিত তুলনায় নিজের হীনতার জন্য শ্বশুরের উপর অকারণে বিরূপ ছিলেন। হেষ্টিংস নন্দকুমারকে জবা করিবার মতলবে এই তিন ব্যক্তিকে হস্তগত করিলেন। এ দিকে কাউন্সিলের সদস্যগণের সহিত হেষ্টিংসের প্রকাশ্য বিবাদ চলিতে লাগিল । হেষ্টিংস তাহার প্রত্যেক কার্য্যেই বাধ) পাইয়া দিক্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া পড়িলেন। - ইছর পরে যে ব্যাপার সংঘটিত হইল, তাহাতে তদানীন্তন কলিকাতা তথা সমগ্র বঙ্গদেশে হুলস্থল পড়িয়া গিয়াছিল । সমগ্র হিন্দু সমাজ আতঙ্কে ৰুসিয়া উঠিয়াছিল। এই ব্যাপারটা ইতিহাস-বিখ্যাত—“লনাকুমারের ক্ষসী ।” নজকুমারের ফাসী-সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণ প্রদান, অথবা উভয় পক্ষের দোষগুণ বিচার, বর্তমান ক্ষুদ্র প্রবন্ধের উদেখা নহে। আমরা এখানে ংক্ষেপে কেবল ঘটনাগুলির উল্লেখ করিলাম মাত্র। হেইল নন্দকুমারের সর্বনাশে কৃতসংকল্প হইয়া কমলউদ্দিন খা নামক এক ব্যক্তিকে হাত করিয়া তাহার নামে একটী মিথ্যা মোকদম উপস্থিত করেন, কিন্তু এই মোকদ্দমার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হইয়া উঠায়, হেষ্টিংস নিরাশ হইয়া অন্য উপায় অবলম্বন করিতে চেষ্টা করেন। ইহার ফলে, নলকুমারের বিরুদ্ধে একখানি অঙ্গীকার-পত্র জালের অভিযোগ আনীত হয়। তৎকালে ইংলণ্ডীয় আইনানুসারে—অর্থাৎ তদানীন্তন ইংলণ্ডেশ্বর তৃতীয় জর্জের বিধানানুসারে “জাল" এবং “খুনের" অপরাধের দণ্ড একরূপই ছিল। এজন্য হেষ্টিংস এই উপায় উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। কনদিমের আমল হইতে বোলাকিদায় জহুরীর, জহরতের কারবার ছিল । ননীকুমারের সহিত বোলাকিদাসের কারবার চলিত। মীরকাসিমের আমলে, নন্দকুমার এক ছড়া মুক্তার কষ্ট, এক খানি কলকা, একটী শিরপেচ ও চারিটা হীরকাঙ্গুরী বোলাকিদাসকে বিক্রয় করিতে দেন। কিন্তু যুদ্ধের সময় কাশিমবাজার লুঠ হওয়ায়, বোলাকিদাসের निएछङ्ग মালামালের