পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমোহনের স্ত্রী & S এসেছি যেন আর কেউ না জানতে পারে । জানতে পারলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হবে । মাধব তাচ্ছিল্যভরে গলা চড়াইয়া বলিল, প্রাণ ? তোমার প্রাণ নিয়ে টানাটানি করবে কে শুনি ? মাতঙ্গিনী বলিল, চুপ। মাধব নিজেকে সংযত করিয়া কহিল, ওঃ, আমার থেয়াল ছিল না । আর ভুল হবে না । —করুণা আর হেমকেও ব’লে যাও তারা যেন গোল না করে । —করুণাকে সামলানোই মুশকিল, আমি মাগীকে দাবড়ি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখব। তুমি হেমের সঙ্গে দরজায় খিল দিয়ে থাকবে—বাড়ির আর কেউ যেন তোমায় না দেখতে পায় । আমি ফিরে এসে তোমাকে আরও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাব । এই কথা বলিয়া মাধব তাহার পত্নী এবং করুণার নিকটে গিয়া মাতঙ্গিনীর বিষয় তাহাদিগকে সম্পূর্ণ নীরব থাকিতে বলিয়া দ্রুতপদে বহিৰ্ব্বাটীর দিকে ধাবিত হইল ও অচিরাং দারোয়ানমহলে উপস্থিত হইল । মাতঙ্গিনীর বুদ্ধিকে মাধব শ্রদ্ধা করিত, সে যে প্রতারিত হয় নাই ইহা ঠিক, তাহা ছাড়া তাঙ্গকে ঠকাইতে সে এত ক্লেশ স্বীকারই বা করিবে কি জন্য ? সুতরাং ডাকাতদলকে বাধা দিবার জন্য সে উঠিয়া পড়িয়া লাগিয় গেল। ধরণী-বক্ষ নিবিড় অন্ধকারে নিমজ্জিত হইবার পূর্বেই দেখা গেল, গৃহের ছাদে বহু মনুষ্ঠাকৃতি জীব আকাশের পটভূমিতে নড়িয়া চড়িয় বেড়াইতেছে । ইহার জমিদারের বাছা বাছ প্রজ, জমিদার-বাড়ির সন্নিকটেই বাস করে এবং যে কোনও সময়ে দেখিতে দেখিতে ইহাদের মধ্য হইতে একদল লাঠিয়াল সংগ্ৰহ হইতে পারে । লাঠি, সড়কি, ইট প্রভৃতি অস্ত্র-শস্ত্রে ইহাদের প্রায় সকলেই সজ্জিত ছিল—আক্রমণকারীরা প্রাচীরের ধারে আসিলে অথবা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করিলে এগুলির প্রয়োগে