পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমল্লী যে বিধানে স্বৰ্য্য চলে—অপথে পবন পায় পথ । তবু—তবু—নাহি জানি—কোন প্রাণে—যে রক্ত আমারি রক্ত— নিজ হাতে, সেই রক্তপাত—কেমনে করিব আমি ? রুক্ষ্মস্বরে যেই দিনই কিছু আমি বলেছি বাছারে সেই দিনই পারিনি ঘুমাতে রাতে,—সেই আয়ুষ্মতী ; মাতৃহীন সন্তান আমাব, মায়েব স্মিরিতি মেয়ে । আমার সে মৃতপ্রিয়া রেখে গেছে বহু চিহ্ন তার ওর মাঝে—বহু স্মৃতি ; সেই হাসি, সেই কণ্ঠস্বর। সেই ধারা ! সেই সে ধবণ –পুবাতন—পরিচিত। ওরে যদি করি বধ দুই নারী হত তবে হবে ; পবিত্ৰ ! পবিত্র তুই মায়েব-আভাসে-ভবা মেয়ে ! তোর মৃত্যু ! হায় বৎসে ! সে যে তোর মায়েরও মরণ ; মূৰ্ত্তি ধরে আজো যে রয়েছে তোর মাঝে, সেই নারী । সংমিলিত আমাদের জীবনেব ধাবা, থেমে বাবে এতদূর এসে—জগতের আদিকাল হ’তে ! হায় ! আর আমি ? এর পবে শূন্ত গৃহে কী পাব আশ্বাস ? সন্ধ্য-অন্ধকারে যবে বর্যাধাবা ঝবিবে ঝঝর, কী সাত্বনা রহিবে তখন ? বাচায়েছি বৈশালীরে ? সন্তান থোয়ীয়ে লাভ স্বদেশীর প্রশংসা-গুঞ্জন ? যশের মুকুট পবা—সন্তানের রক্তসিক্ত হাতে ? তার চেয়ে, মৃত্যু ! তুমি, বেঁধ বাণে এই মুমুঘুরে । দেবী ! দেবী ! বিজয়ের মূল্য যদি হয় নরবলি বিজয়ী সে দিক্‌ নিজ প্রাণ, আজ্ঞা কর, আজ্ঞা কর।