পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোল-আনি

সব দেখ্‌ শোন্‌। তা নয়, মা যা বলবে তাই করবে—সুধু সই করবার বেলায় তুই। এই যে তোর নাবালক অবস্থায় তোর মা বিষয় দেখেছে, তার একটা হিসাব-নিকাশ ত তলব করা উচিত ছিল। আমি ত সবই জানি; বড়-গিন্নী দুই হাতে টাকা জমিয়েছে। আরে, দশটা মেয়েও নেই যে, তাদের দিয়ে যাবি; সবই ত ঐ ছেলের। তবে আর এমন করিস্‌ কেন।”

অখিল পাল বলিল “এই এখন সে সব টাকা দেওয়ার মানুষ জুঠেছে। তাদের দিয়ে সব লুটিয়ে দেবে। একটি পয়সা ত কাউকে দান করা নেই।”

“না হে অখিল, সে কথা বোলো না। বড়-গিন্নীর দান-ধ্যান আছে; গরীব-দুঃখীকে দেওয়া আছে; ক্রিয়া-কর্ম্মেও কৃপণতা করে না। তবে কি জান? সে আর কটা পয়সা। দাদা জমিদারীর আয় যা বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন, তার তুলনায় বছরে দুহাজার পাঁঁচ হাজার দান-ধ্যান তেমন একটা বেশী কিছু নয়, কি বল ঘটক?”

পীতাম্বর ঘটক বলিল “তাতে আর সন্দেহ কি কর্ত্তা! সংসার ত আর তেমন বড় নয়; দু চার পাঁঁচ হাজার দান-ধ্যান কি আর এমন রাজার সংসারে একটা ধর্ত্তব্য। হাঁঁ, দান ত দান আমাদের এই ছোটকর্ত্তার। কাউকে কখন ‘না’ বলতে শুনলাম না; তা কেবা জানে পাঁচ শ, আর কেবা জানে পাঁঁচ হাজার।”

মনোহর বাবু হৃষ্টচিত্তে বলিলেন “তা যা বলেছ ঘটক, আরে টাকা কি আর সিন্দুকে তুলে রাখবার জন্যে; খরচের জন্যই টাকা।

৫৮