পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-অমালি একমাত্র উপায়। সেই উপায় অবলম্বন করে অনেক নয়-আনি সাত-আনির অস্তিত্ব লোপ হয়েছে। তাই যদি করতে পারিস, ত৷ হলে হয় ।” “সেটা কি ?” “শুনৃবি সেটা কি? আমি এক-দিকে লাঠি ধরি, আর তুই একদিকে লাঠি ধর। প্রকাণ্ড একটা দাঙ্গ বাধিয়ে দিই। দুই পক্ষের দশ বিশটা খুন, আর পঞ্চাশ যাটটা জখম হোক। তারপর আর কি, মামলা আরম্ভ হোক—যাক্ হাইকোট পৰ্য্যন্ত। নয়-আনি সাত-আমির যথাসৰ্ব্বস্ব আদালতে উকিলে বারিষ্টারে ভাগ করে নিক। চার পাঁচ লাখ টাকা দুই সরিকের দেন দা সুক। শেষে হরিরামপুরের পাটের মহাজন সাহাজিরা এসে নয়-আনি সাতআনি কিনে নিক্‌ ; তুই আর আমি সপরিবারে কুটারবাসী হই, আমি স্কুল-মাষ্টারী করে য। পাই, তাই এনে তোদের খাওয়াই— দেবীপুরের নয়-আনি সাত-আনির অস্তিত্ব লোপ হয় । এই একমাত্র সনাতন উপায় ভাই ! নান্তপন্থ বিদ্যতে অয়নায় ।” হরিহর বলিল “বাঃ! তুমি ত দেখছি এ বংশের ভারি শুভানুধ্যায়ী বন্ধু দাদা !” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “তুই পথের কথা জিজ্ঞাসা করলি ; আমি যা জানি, তাই তোকে বললাম। এ ছাড়া আর পথ নেই! জানিস হরিহর, নয়-আনি সাত-আনির এ মনান্তর আমরা উত্তরাধিকারস্বত্রে পেয়েছি-এ সম্পত্তি এই রকম কামড়া-কামড়ি করিয়া পুত্রপৌত্রাদিক্রমে ভোগদখল করিতে থাকহ—বুঝিলি মুর্থ ! যাক,