পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-অমানি মনোহর বাবু হাসিয়া বলিলেন “তাদের কথা ছেড়ে দেও। তারা শীতপ্রধান দেশের মানুষ ; তারপর স্বাস্থ্যের দিকে তাদের কেমন দৃষ্টি। তাই তারা সহজে শক্তিহীন হয় না। যাক্ সে কথা । দেখ বাবা সিদ্ধেশ্বর, অনেক দিন থেকেই বলব বলব করি, কিন্তু বলতে পারিনে । তোমরা হচ্চ একেলে শিক্ষিত যুবক । তোমরা কি মনে করবে, তাই ভেবে বলতে পারিনে । এখন আমিই ত তোমাদের অভিভাবক ; কাজেই আমাকেই সব দিক দেখতে হয়। এই দেখ, বোমার অমুখ ত কিছুতেই সারল না ; চিকিৎসা-পত্রেরও কোন ক্রটাই করলে না । এক বৎসর কলকাতায় রেখে ডাক্তার বদি যা কিছু করতে হয়, সবই ত করে দেখলে। বোমার ও-মমুখ আর সারবে না, এ বেশ বোঝা যাচ্ছে। তবে যে কয়দিন পরমায়ু আছে, সে কয়দিন তাকে কষ্ট ভোগ করতেই হবে । কিন্তু, তা ব’লে ত একেবারে সংসারের উপর উদাসীন হ’লে চলে না। তুমি ত কোন কাজকৰ্ম্মই দেপ না । তা, দেখতে ইচ্ছেই বা করবে কেন ? পরিবারের এই অবস্থা; বিষয়কৰ্ম্মে মন লাগবে কেন ? ছটা ছেলে-মেয়ে হোতে ;' তাদের মুখের দিকে চেয়ে শরীরে বল হোতে। এখন শুনছি, তুমি না কি পণ্ডিত রেখে বেদান্ত শাস্ত্র পাঠ করছ?” সিদ্ধেশ্বর নতমুখে বলিলেন “আজ্ঞে, পাঠ আর কৈ হচ্চে, অমনি একটু নাড়াচাড়া করি মাত্র।” মনোহর বাবু বলিলেন “ঐ ত বাবা! এখন কি তোমার বেদান্ত পড়বার সময়। ও সব সন্ন্যাসীর শাস্ত্র । ও-সব পড়ে না বাবা ! ११