পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি একটুও দুঃখ হবে না। অনাথ অসহায় বিধবার সন্মাম রক্ষার জন্য আমি সব করব । মনোহর চাটুৰ্য্যে দেখতে পাবে যে, এই বুড়ে বয়সেই আমি তাকে সাত-ঘাটের জল খাওয়াব । সমাজের ভয় তুমি কোরো না সিধু! জান না, কলকাতার কোন একজন বড়মানুষ যুবক তার মাকে বলেছিল ‘মা, জাত-জাত কি বলছ ? জাত আমার এই বাক্সের মধ্যে।’ বলতে অবশু কষ্ট হয়, কিন্তু না বলেও পারছিনে সিধু, এখন জাত তোমার খাজান ঘরের লোহার সিন্দুকের মধ্যে। আগের মত—বেশী আগেরও নয়, আমরা ছেলে বেলায় যেমন দেখেছি, তেমনিও যদি সমাজের অবস্থা হোতে, তা হলে ভয়ের কারণ ছিল ; কিন্তু, এখন আর সে ভয় নেই। তুমি কি দেখতে পাচ্চ না যে, টাকায় এখন সব হয়। শাস্ত্র-বিধান এখন আর নাই, এখন স্বধু আছে টাকা! সমাজ কৈ ? বিধিব্যবস্থা মানে কয়জন ? সুধু তর্ক করবার সময়, আত্মপক্ষ সমর্থন করবার সময় লোকে শাস্ত্রের দোহাই দেয়, শ্লোক দেখায় ; কিন্তু পদে-পদে তার শাস্ত্রের বিধান লঙ্ঘন করছে। ব্রাহ্মণ বৈদ্য কায়স্থ, সকলেরই ঐ দশা! এমন সমাজ, এমন প্রতারণাপূর্ণ সমাজ যদি তোমাকে ত্যাগ করে, তবে ত দুঃখের কোন কারণ নেই। এ সমাজে থাকাই পাপ ! মুধু মিথ্যার রাজত্ব। তার পর শোন বাবা, যে কারণে ওঁরা তোমাকে সমাজের ভয় দেখাচ্ছেন, সে কারণটাকে আর তুচ্ছ করলে চলবে না। তোমরা লেখাপড়া জান, তোমরা বিদ্বান হয়েছ, তোমরা অনেক পড়াশুনা করেছ; আমি সে সব কিছুই জানিনে ; কিন্তু আমি বলতে পারি, মানদার মত মেয়েকে যে সমাজ సెN9