পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমালি ব্ৰহ্মাস্ত্র। সিদ্ধেশ্বর বাবুর স্বৰ্গীয় পিতা এবং মনোহর বাবু, এই উভয়েরই সঙ্গি এই দলিলে আছে। এইখানি মথ্যা প্রমাণ না করিতে পারিলে মামলা কিছুতেই টিকিবে না। নয়-অনির উকিল বাবু কেন, ম্যানেজার বাবু পর্যন্তও এই দলিলের অস্তিত্ব অবগত ছিলেন না । দলিলথানি যখন আদালতে পড়া হইল, তখন নয়-আনির উকিল মহাশয় আত্মরক্ষার জন্য বলিলেন “ধৰ্ম্মাবতার, আমরা প্রমাণ করিব যে, এই দলিল জাল । ইহার কথা আমরা জানি না ; আমাদের সেরেস্তায় ইঙ্গার কোন নিদর্শন নাই।” সাত-আণনির উকিল বাবু তাহাদের পুরাতন দুই চারি খানি কাগজ উপস্থিত করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে গিলেন । নগ্ন-আনির উকিল বাবু দলিলথানি একবার ভাল করিয়া পরীক্ষা করিতে চাহিলেন । তিনি চোখের চস্মাথানি বেশ ভাল করিয়া মুছিয়া লইয়া দলিলপানি চক্ষুর সম্মথে ধরিয়া পাঠ করিতে লাগিলেন। হঠাৎ তাঙ্গর দৃষ্টি পড়িল কাগজের ছাপার দিকে। যে ফুলস্কেপ কাগজে দলিলখানি লেখা, সেই কাগজে কাগজ-প্রস্তুতের সাল মুদ্রিত ছিল ; সাদা কাগজে সাদী ছাপ দেওয়া ; সেদিকে বোধ হয় দলিল প্রস্তুতকারারও সতর্ক দৃষ্টি পতিত হয় নাই। উকিল বাবু দেখিলেন যে, কাগজ-প্রস্তুতের সালের পাচ বৎসর পূৰ্ব্বে এই দলিল লেখাপড়া হইয়াছে। অন্য কেহ হইলে হয় ত তখনই লাফাইয়া উঠিতেন ; কিন্তু প্রবীণ বহুদশী উকিল বাবু অতি ধীর ভাবে আরও দুই এক মিনিট দলিলথানি পাঠ করিয়া বিচারকের হস্তে প্রদান করিয়া به نیت د: