পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

॥৴৹

পত্রিকার নিরবচ্ছিন্ন প্রোপাগ্যাণ্ডা এমন সংস্কারের সৃষ্ট করিয়াছে যে, তদ্দ্বারা যুক্তিনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ, সত্যপিপাসু ব্যক্তিগণও বিভ্রান্ত হইয়াছেন। তৃতীয়তঃ, অবস্থা এমন দাঁড়াইয়াছে যে, জনসাধারণের জন্য এমন-কোন দলভাব মুক্ত পত্রিকা নাই যাহাতে সমালোচনার নিরপেক্ষতা সকলের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে। অথচ, যত সত্যই হৌক, সকল মতেরই একটা প্রতিবাদী মত থাকিবে, এবং থাকাই উচিত, না থাকিলে জাতি বা সমাজের মনের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। কিন্তু এক্ষণে এ দেশে ঐ এক-ধর্ম্ম ও এক মত ব্যতিরেকে আর কিছুই প্রচার হইতে পারিবে না। বেশ বুঝিতে পারা যায়, এই প্রোপাগ্যাণ্ডার পশ্চাতে একটা বিরাট ব্যবসায়ী- চক্রান্ত বা অর্থনৈতিক প্রভূত্ব আছে। ইহাতেও প্রমাণ হয় যে, ঐ কংগ্রেসের নীতির মধ্যেই এমন কিছু আছে যাহা ছোট বড় সকল সুবিধাবাদীগণের পক্ষে বড়ই হিতকর। বাংলাদেশে এই সুবিধাবাদই কংগ্রেস ধর্ম্মকে দৃঢ়মূল করিয়াছে, এ কথা যে সত্য তাহা প্রমাণ করিতে বেশীদূর যাইতে হইবে না―বাংলাদেশে যাঁহারা ঐ ধর্ম্মের পাণ্ডা তাঁহাদের বাহিরের নর্ত্তন ও ভিতরের কীর্ত্তন মিলাইয়া দেখিলেই তাহাতে আর সন্দেহ থাকিবেনা। ঐ প্রপাগ্যাণ্ডা এমনই নিশ্ছিদ্র ও সংঘবদ্ধ যে, আজিকার এই দারুণ দুর্গতির মধ্যেও বাঙালীর মুখ বন্ধ রাখা হইয়াছে, তাহার বুকের বেদনা ও মনের প্রকৃত ভাব প্রকাশ পাইতেছেনা। কোন পত্রিকাই সত্য কথা বলিবে না, বরং, তাঁতিকুল ও বৈষ্ণবকুল দুই কুলই রক্ষা করিবার জন্য, কেহ কেহ যেরূপ চতুরতার কসরৎ করিয়া থাকে, তাহা যেমন শোচনীয়, তেমনই হাস্যকর।

 চতুর্থতঃ, সুভাষচন্দ্রের আজাদ-হিন্দ্-ফৌজের রোমাণ্টিক কীর্ত্তিকাহিনীই বাঙালীকে তথা ভারতবাসীকে মুগ্ধ করিয়াছে; কিন্তু সুভাষজীবনের আদ্যন্ত, তাঁহার সেই মহাযজ্ঞের প্রায়ণ বা আরম্ভ-কাহিনী