পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৫৯

প্রসঙ্গে স্মরণীয়। অতএব একটা জাতির ধর্ম্ম ও মনুষ্যত্ব যদি এমন ভাবে নষ্ট করা সম্ভব হয়,―তাহার নিরক্ষর জনগণ হইতে অপেক্ষাকৃত চতুর ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিগুলিকে পৃথক করিয়া, এবং তাহাদের সাহায্যেই অপরগুলিকে শোষণ করিয়া, স্বজাতির ধনভাণ্ডার, লোষ্ট্ররাশির মত, স্বর্ণরাশির দ্বারা পূর্ণ করা যায়, তবে অভিপ্রায়-সিদ্ধির বাকি কি রহিল?

 আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায় যাঁহারা কংগ্রেসনামক জাতীয় মহাসভার পত্তন করিয়াছিলেন, তাঁহারা নিশ্চয়ই স্বাধীনতা চান নাই, ইংরেজের এই শোষণ-নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন নাই―সে জ্ঞানই তাঁহাদের ছিল না। এই শোষণনীতি যখন ধরা পড়িল, তখনও তাহা নিবারণের উপায় কি? ইংরেজের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক রফা বা চুক্তি? কথাটা এইখানেই তুলিলাম, তাহার কারণ, আমরা স্বাধীনতা শব্দটি আজকাল বড় বেশি ব্যবহার করিতেছি, অথচ বেশ বুঝিতে পারা যায়, জনগণ যাহাই বুঝুক―নেতারা শেষ পর্য্যন্ত একটা চুক্তি করতেই চান। সেই চুক্তি বা রফা করিতে হইলে ইংরেজকে তাহার ভারত-শাসন-নীতিই ত্যাগ করিতে হয়, তাহার রাজত্বের কোন প্রয়োজনই থাকে না। রাজত্বের জন্যই সে রাজত্ব চায় না, সে চায় ভারতের ধন-হরণ; তাহা করিতে হইলে ভারতের দারিদ্র্যমোচন ত’ নহেই, সেই দারিদ্রের মাত্রা এমন হওয়া চাই, যাহাতে তাহার বিদ্রোহ করিবার সামর্থ্যই না থাকে। ঐ ভেদনীতি এবং এই দারিদ্র্য,