পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
জয়তু নেতাজী

অগণিত আর্ত্ত নরনারীর দারুণ দুঃখমোচনের জন্য, ইহাও সেই বোধিবৃক্ষ-মূলে মার-বাহিনীর সঙ্গে শাক্য-সিদ্ধার্থের সংগ্রাম, মার-সেনাকে সদলে পরাজিত করিয়া নিজে মুক্ত ও বুদ্ধ হইয়া, তিনি সেই মুক্তি ও সেই বোধি আর সকলকে দিবার অধিকারী হইয়াছেন―ঐ বাহিরের যুদ্ধে যাহারা যোগ দিয়াছিল, তাহারাও অন্তরে মুক্তিলাভ করিয়াছে―তাহারাও মার-সেনাকে পরাস্ত করিয়াছে; সেই মার-সৈন্যগণের নাম―জাতি-অভিমান, ধর্ম্ম-অভিমান, নেতৃত্বাভিমান; কুলগর্ব্ব, পদগর্ব্ব, সর্ব্ববিধ লোভ, ঈর্ষ্যা, দেহসুখ ও মৃত্যুভয়। ইহা যদি হিংসার পথেই হইয়া থাকে, এবং অহিংসাব পথে ইহার অন্ধ ও প্রাণহীন অভিনয় মাত্র হইয়া থাকে―তবে কোন্ ধর্ম্ম বড়? হিংসা কাহাকে বলে? অহিংসাই বা কি?

 আসল কথা, এ তন্ত্রই ভিন্ন—ইহা গান্ধী-তন্ত্র নয়। ইহার মূলে আছে বিশুদ্ধ মুক্তি-পিপাসা। উহা শুধুই রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, তাহা অপেক্ষা অনেক বড়, উহা সেই আত্মারই বন্ধন-মুক্তি― যুগ-প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় বন্ধন-মুক্তির সঙ্গে তাহা এক হইয়া গিয়াছে। ইহা যে কেন বাঙালীর প্রতিভায় ও বাঙালীর সাধনায় সম্ভব হইয়াছে, তাহাও বলিয়াছি। দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গাতীরে এই মুক্তি-পিপাসার আকুলতা, এবং সেই মহাসাধনায় সিদ্ধিলাভের কথা স্মরণ কর। সেই পিপাসার জন্ম হইয়াছিল বাংলায় এক অখ্যাত পল্লীতে―রাজা-জমিদারের ঘরে নয়— দরিদ্র-কুটীরে; সেই মূর্ত্তির সেই বেশ স্মরণ কর, অঙ্গে কেবল