পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
জয়তু নেতাজী

—সে মুক্তি ঐ দুর্গতিমােচনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমিক মাত্রায় লাভ করাই সম্ভব।[১] একজনের বিশ্বাস অপরিসীম, আর একজন সেরূপ বিশ্বাস করিতেও ভয় পান। ইহাই স্বাভাবিক, কারণ একজন বদ্ধ, অপর জন মুক্ত। গান্ধীজীর কর্ম্মব্রত অসহায় দুর্গতদের লইয়া—বদ্ধ-জীব লইয়া, তাই তাঁহাকে বড় সতর্ক হইয়া, বড় হিসাব করিয়া চলিতে হয়। তিনি মহাত্মা হইলেও মহাপুরুষ নহেন; তিনি কত ভুল করেন, আরও কত করিবেন— মহাত্মার মত তাহা স্বীকার করেন, মহাপুরুষের মত তাহা বোধ করিতে পারেন না। সুভাষচন্দ্র ‘নিজে মুক্ত—নিত্যমুক্ত’ তাঁহার সেই মুক্ত-স্বভাবের যে প্রয়াস, তাহা স্বতঃস্ফূর্ত্ত দ্বিধাহীন—তাহা experiment নয়, কোনরূপ পরীক্ষার দ্বারা তাহার সত্যতা নির্ণয় করিতে হয় না। তাঁহার মনে কোন সংশয় নাই, দৃষ্টি অভ্রান্ত, তাঁহার পথও পৌঁছিবার পথ আবিষ্কারের পথ নয়, নিজে পৌঁছিয়াছেন বলিয়া তিনি জানেন, কোন্ পথে সকলকে পৌঁছিতে হইবে। ঐ একজনই সেই দিব্যশক্তি লাভ করিয়াছে, যাহাব সম্বন্ধে শ্রুতি বলিয়াছেন “যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যঃ”।

 এতকাল পরে সারা ভারতে যে নূতন প্রাণের সাড়া জাগিয়াছে—পরিত্রাণের যে ভরসা আবালবৃদ্ধবনিতাকে সঞ্জীবিত করিয়াছে তাহার কারণ কি? তাহার কারণ, এতদিন কাহারও মােহভঙ্গ হয় নাই, আজ ঐ একজনের হইয়াছে। যদি


  1. পরিশিষ্টে “গান্ধী ও গান্ধী-কংগ্রেস সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র” শীর্ষক প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য।