পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
জয়তু নেতাজী

স্মরণ হয়, তাহারই কীর্ত্তি ও তাহার চরিত এই ঘাের নৈরাশ্যকেও কথঞ্চিৎ লঘু করে, মানসনেত্রে সেই মূর্ত্তি দর্শন করিয়া আত্মা যেন একটু আশ্বস্ত হয়—বলিয়া উঠে, “Sweet Benediction in the eternal Curse!... Thou living form among the Dead!” নীরন্ধ্র অন্ধকার ভেদ করিয়া সেই আলােকরশ্মি নির্গত হইতেছে, বিরাট হত্যাশালার আর্ত্ত কোলাহল ক্ষণে ক্ষণে স্তব্ধ করিয়া একটি দূর কণ্ঠের মাভৈঃ-রব শােনা যাইতেছে। সেই এক। আর কেহ নাই —কিছু নাই।

 বাঙালী, আজ সেই সুভাষচন্দ্রকে স্মরণ কর। পুরাণে আছে, এই দেশেরই শতবেণী-সঙ্গমে পবিত্র জাহ্নবীধারাকে দূর গঙ্গোত্তরী হইতে টানিয়া আনিয়া সগররাজবংশের ভস্মরাশিকে সঞ্জীবিত করিয়াছিল—সেই নির্ব্বংশের একমাত্র বংশধর। পুরাণ ইতিহাস নহে, অর্থাৎ সে কোন বিশেষ কালের বিশেষ ঘটনার কাহিনী নয়, তাহার কাহিনী নিত্যকালের, তাই সেই ঘটনা আজিও ঘটিতেছে। বাঙালীর সগরবংশ ঋষির অভিশাপে ভস্ম হইয়াছে; আজিকার সাগরসঙ্গমে তাহার যে ভস্মরাশি পড়িয়া আছে তাহাকে সঞ্জীবিত করিতে পারে ও করিবে— তাহারই ঐ একমাত্র জীবিত বংশধর, সারা ভারতে সে যে পুণ্যপ্রবাহ বহাইয়াছে তাহারই স্পর্শে ঐ ভন্মরাশি সঞ্জীবিত হইবে—ঋষির অভিশাপ হইতে সে মুক্ত হইবে।

 সেই মুক্তি হইবে কেমন করিয়া? সে মুক্তিসাধনের মন্ত্র কি? একজন বাঙালী-সন্তান জননী-জঠরে বাসকালেই সেই