পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
জয়তু নেতাজী

অস্থির হইয়া উঠিয়াছিলেন। গান্ধী-পাদুকাধারী কোনও পুত্তলিকার পরিবর্ত্তে যদি সর্ব্বদলের আস্থাভাজন ও উপযুক্ত কাহাকেও রাষ্ট্রপতি-পদে ববণ করা হয়, তবে তিনি সানন্দে ঐ পদ-গৌরব ত্যাগ করিবেন, ইহাও মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করিলেন। কিন্তু শোনে কে?—শুনিবেই বা কেন? ব্রিটিশ সরকারের সহিত রফা করিবার ইহাই উপযুক্ত সময়, সদ্ভাবও ক্রমে বেশ জমিয়া উঠিতেছে, তরী প্রায় কূলে ভিড়িয়াছে—এমন সময়ে সেই মন্ত্রীত্ব-প্রভৃতির ‘বাড়া-ভাতে ছাই ফেলিতে’ এ কোন মহাশত্রুর আবির্ভাব! এইবার সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা হইল তাহাতে ধর্ম্মযুদ্ধের যোদ্ধাগণ অতঃপর যে নির্ল্লজ্জ হিংস্রতা ও মোরিয়া-মনোভাবের তাণ্ডব জুড়িয়া দিল, গান্ধী কংগ্রেসের ইতিহাসকে তাহা চিরদিন কলঙ্কিত করিয়া রাখিবে, ভারত-মহাসাগরের সমুদয় জলরাশি সে কলঙ্ক ক্ষালন করিতে পারিবে না। একদিন এই জাতি যখন মোহমুক্ত হইবে, তখন ঐ একটি ঘটনার বিদ্যুতালোকেই তাহারা গান্ধী-কংগ্রেসের স্বরূপ প্রত্যক্ষ করিয়া দারুণ লজ্জা ও দুঃখ অনুভব করিবে।

 ত্রিপুরীতে গান্ধী-সৈন্য সুভাষচন্দ্রকে অপদস্থ ও পরাস্ত করিবার জন্য কি করিয়াছিল, সুভাষচন্দ্রই বা কি অবস্থায়, কঠিন রোগে শয্যাশায়ী হইয়াও সেই রণাঙ্গন ত্যাগ করেন নাই—সে কাহিনীর পুনরাবৃত্তি করিব না। আমি কেবল, সেই সুভাষ-নিধন-যজ্ঞের যিনি যজ্ঞেশ্বর তিনি তখন কি করিতেছিলেন, তাহাই একটু স্পষ্ট