পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
জয়তু নেতাজী

মানিতে দিবে না। তাহারা বলে, নেতাজীর পন্থা শুধুই ভুল নয় —উহা ধর্ম্মবিরুদ্ধ। ভুল কি ঠিক, তাহাও বড় কথা নয়, আসলে উহা হিংসাকলুষিত; অতএব ঐ পথে ভারতের স্বাধীনতালাভ হইলেও তাহা গ্রাহ্য নহে, কারণ সেই স্বাধীনতা-রক্ষাও সংগ্রাম-সাপেক্ষ, অর্থাৎ হিংসামূলক। তাহাতে জগতের উপকার হইবে না, ইতিহাসের ধারা পরিবর্ত্তিত হইবে না—মানব-সমাজে সংগ্রামের অবসান হইবে না, জগতে চিরশান্তি প্রতিষ্ঠিত হইবে না। এই অতি উচ্চ ধর্ম্মধ্বজিতার জবাব দিবার অবকাশ এখানে নাই; পৃথিবীর ইতিহাস যাহারা কিছুমাত্র অবগত আছে—সৃষ্টির নিয়ম, মানুষের জীবন, তথা পার্থিব কল্যাণ-অকল্যাণ ও তদ্‌ঘটিত শাশ্বত বিধান যাহারা চিন্তা করিতে পারে, তাহারাই জানে যে, ঐ গান্ধী-ধর্ম্ম-নামক তত্ত্ববাদ যেমন নূতন নহে, তেমনই উহার অন্তর্গত প্রেরণা ও যুক্তি দুই ই একরূপ দুরারোগ্য ব্যাধির লক্ষণ। এ ব্যাধি ভারতবর্ষে আরও পুরাতন, এবং উহারই বিস্তার ও প্রচ্ছন্ন প্রকোপে ভারতের আজ এই মুমূর্ষু অবস্থা। সে আলোচনা এখানে অবান্তর। আমি কেবল ইহাই বলিতেছি যে, ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রাম যদি মুখ্যত একটি রাজনৈতিক আন্দোলন হয়, অর্থাৎ বিরুদ্ধ রাজশক্তির হস্ত হইতে স্বাধীনতা-উদ্ধারের চেষ্টা হয়, তবে সেই সংগ্রামে কংগ্রেস যে পন্থা অবলম্বন করিয়াছে তাহাতে সত্যকার নেতৃত্ব গুণের কোন্ পরিচয় আছে? জনগণকে ভক্তিবিমূঢ় করিয়া একরূপ একতাবদ্ধ করা—তাহাদিগকে অবোধ অজ্ঞ শিশুর মত